পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミのミ অধ্যাপক মধ্যেই একটা উদ্দেশু আছে। উদ্দেশ্য বল্লেই যে ব্যক্তি বিশেষের উদ্দেশু বুঝায় তা নয়। যেটা যাতে পরিণত হয় সেইটিই তার উদ্দেশু । কোরকের উদ্দেশু বিকশিত কুসুম, আবার অনেক বিকশিত কুহুমের উদ্দেশ্য ফল, ফলের উদ্দেশ্য তার পরিণতি তার বীজ ও সেই থেকে পুনরায় অঙ্কুরের উদগমন । মানুষেরও জীবনে সে চায় কতগুলি প্রবৃত্তির প্রেরণাকে সার্থক করতে । সেই প্রেরণা সার্থকের পথে থাকে অনেক বিঘ্ন, সে বিঘ্নে আনে দুঃখ । কিন্তু নিজের অস্তরের প্রেরণাকে সার্থক করে তুলতে না পারলে আমরা অন্তরের মঙ্গলকে পেতে পারি না। এই হিসাবে দুঃখ মঙ্গলের বিপরীত নয় । পৃথিবীতে দেখা গেছে যে অনেক সাধু মহাপুরুষ আপন অন্তরের শুভ প্রেরণাকে বাইরের বিল্লময় জগতে সার্থক করতে গিয়ে অনেক দুঃখ পেয়েছেন, এমন ক, নিম্পেষিত হয়েছেন। তাদের সেই দুঃখ ও নিষ্পেষণের মধ্য দিয়ে তার যে নিজের প্রেরণাকে অভিব্যক্ত করেছিলেন সেটা হয়ে আছে জগতের চিরদিনের মঙ্গলের সম্পত্তি। তাদের নিষ্পেষণের মধ্যেও তারা সেই মঙ্গলের অনুভবকে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাদের আত্মপ্রেরণার পূর্ণতার তৃপ্তিতে। যখনই আমরা স্বথকে একান্ত কামা বলে মনে করি এবং মনে করি যে আমরা কেবল সুখই চাই, তখনই আমরা দুঃখকে মনে করতে পারি অমঙ্গল । কিন্তু একটু বিবেচনা করে দেখলেই আমরা দেখতে পাই যে আমরা চাই আমাদের প্রেরণার সার্থকতা। আমাদের অন্তরে যে প্রেরণা আছে সেই প্রেরণা আপন সার্থকতার জন্য বহিলোকে আমাদের কর্ম্মে প্রবৃত্ত করে। এই শুভ প্রেরণা অনুসরণ করে যখনই আমরা দুঃখ বা ক্ষয়ক্ষতিকে তুচ্ছ মনে করি, তখনই আমাদের অন্তর পায় তার চরিতার্থতা। সেইটিই হচ্ছে মঙ্গল।" 7স্বজাত বলে—“আমাদের প্রবৃত্তির সবগুলো ত ভাল নয় ।