পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ર.(t૭ আমাদের অনেক প্রবৃত্তি পশুসাধারণ। সেগুলোকে মুক্ত করায় আমাদের কি চরিতার্থতা ?” g নিস্তারিণী দেবী বল্লেন—“আমাদের পশুপ্রবৃত্তির কতকগুলি শরীররক্ষামূলক, যেমন ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা প্রভৃতি । এগুলি আমরা পূর্ণ না করে পারি না এবং অন্যের অবিরোধে এগুলির পরিপূরণ করা আমাদের কর্ত্তব্যও বটে মঙ্গলেরও বটে । যখন আমাদের এত সমস্ত দৈহিক প্রবৃত্তি অপরের বিরুদ্ধে ধাবিত হয় তখন তার ফলে আমরা পৃথিবীতে আনি দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাত । সে দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাতে হয় আমরা নিজেদের ক্ষতি করি, নয় আমরা অপরের ক্ষতি করি । এইটি হচ্ছে আমাদের বর্তমান সমাজেব অপূর্ণতা । আমাদের সমাজ বন্ধনের প্রধান উল্লেখই এই যে আমর। যৌথভাবে চেষ্টা করব যাতে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে প্রবৃত্তিগুলি এইভাবে আত্মঘাতী হয়ে উঠতে না পারে । সমাজের বর্তমান চেষ্টায় যদিও এটা সফল হয়ে ওঠে নি, তথাপি একথা মানতেই হয় যে সেই দিকেই চলেছে সমাজের গতি এবং বর্তমান সমাজে দশের জন্য একের বলিদান অনেক সময় হয়ে পড়েছে প্রয়োজন সকলের সুথ ও শাস্তির জন্য । কিন্তু একথা অস্বীকার করা যায় না যে এই সমস্ত দুপ্রবৃত্তিকে বাধা দেওয়ার জন্য নিরন্তরই আমাদের মধ্যে আমাদের শুভ প্রবৃত্তি কাজ করছে। দুষ্প্রবৃত্তির উপেয় হচ্ছে মুখ, অপরকে বর্জন করেও আমার নিজের প্রভাব প্রাপ্তি । তাই এর বিরুদ্ধে নিরস্তরই আমাদের মধ্যে চলেছে শুভ প্রবৃত্তির একটা প্রতিঘাত । সেই প্রতিঘাত আত্মার মধ্যে যে অস্বস্তি আনে, সংসারের সঙ্গে নিজেকে যেভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, ८जल्लेछिड़े ट्छ डाशश्नल !” সুজাতা আবার বল্লে—“এই স্বপ্রবৃত্তি দুপ্রবৃত্তির দ্বন্দ্বের অর্থ কি ?”