পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ર.( (x সুন্দর কুৎসিত বোধের মধ্যে । এই দোটানায় পড়েছে বলেই মানুষের । মধ্যে দুটি বিজাতীয় ভাবের প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়।” সুজাতা বল্লে—“সে দোটানায় পড়ে মানুষ যাবে কোথায় ?” নিস্তারিণী দেবী বল্পেন—“যে ইতিহাসের ফলে মানুষ উৎপন্ন হয়েছে এবং যে ইতিহাস মানুষের ভবিষ্যৎ ব্যাপ্ত করে’ আছে, তার ফল এই যে মাহুষকে চলতে হবে চিরন্তন দ্বন্ধের পথে।” স্বজাত বল্লে—“ত্র দ্বন্দ্বটা কি রকমের ?” নিস্তারিণী দেবী বল্পেন—“পগুলোকের দ্বন্দ্ব হচ্ছে তার প্রাকৃতিক জড় ও জীবলোকের সঙ্গে, কিন্তু তার নিজের মধ্যে নিজের প্রবৃত্তির কোনও দ্বন্দ্ব নেই । তার দ্বন্দ্বে সে হয় জয়ী, না হয়, হয় তার ক্ষয় । এই জয় ও ক্ষয়ের দ্বারা পশুলোকে গড়ে উঠেছে তার পরিণতির ইতিহাস । মনুষ্যলোকে শুধু যে এই জাতীয় দ্বন্দ্ব আছে তা নয়, সেখানে এর সঙ্গে ওঠে আর একটা নূতন রকমের দ্বন্দ্ব । সেটা তার নিজের মধ্যে একটা বিরোধ, তার পশু-স্বভাবের সঙ্গে তার মনুষ্য-স্বভাবের বিরোধ। এই বিরোধেব মধ্য দিয়েই মানুষ ক্রমশঃ চেষ্টা করছে অতিক্রম করতে তার পশুস্ব ভাবকে, সার্থক করতে চেষ্টা করছে তাব মনুষ্য-স্বভাবের চরম পূর্ণতাকে । সেই জন্যই যখন আমবা মানুষের ভবিষ্যৎ ইতিহাসকে সামনে না রেখে কেবল তার বর্তমান দ্বন্দ্বকে দেখি তখন সেই দ্বন্দ্বের কোনও অর্থ খুজে পাই না । মনুষ্যজাতির মান ব্যক্তির মধ্যে এই দু’টি প্রবৃত্তিকে নৃIনাধিক থাকতে আমরা দেখতে পাই। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে : f অনেক সময় হয় ত আমরা দেখতে পাই যে সাধু প্রবৃত্তির প্রেরণাকে ; সফল করতে গিয়ে মানুষ চুঃখ ও ধ্বংসকে বরণ করেছে, কিন্তু চরম : উদ্দেশ্বের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এই দুঃখ ও ধ্বংসকে আমরা অমঙ্গল । বলতে পারি না। শিশু হাটতে চেষ্টা করতে গিয়ে হয় ত কোন সময় ।