পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

←©Ꮼ অধ্যাপক আছাড় খেতে পারে, যেতে পারে তার পা ভেঙ্গে, কিন্তু তবুও এ কথা বলা চলবে না হাটতে চেষ্টা করে সে অমঙ্গলের পথে চলেছিল । এই জন্যই স্বাভাবিক শুভ প্রেরণার বশবর্ত্তী হয়ে যখন মানুষ দুঃখ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সে দুঃখ ও ক্ষতিকে সাফল্যেরই একটি পর্য্যায় বলে’ মনে করতে হয়। প্রাকৃতিক বিরোধ বশত: যদি কোন সময় দুঃখ বা ক্ষতি এত প্রচুর পরিমাণে আসে যাতে সেই ব্যক্তি তার জীবনে আর মুখ না পায় এবং একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়, তথাপি তার আত্মস্থখ প্রেরণার বিশ্বাসের মধ্যে সে আপন অধ্যাত্ম মঙ্গলের সাক্ষাৎ পেয়ে তৃপ্ত হয় এবং সমগ্র মহন্তজাতির অগ্রসরের পথ মুক্ত করে দেয়।” স্বজাত আবার প্রশ্ন করলে—“জাতির সাফল্যের জন্য ব্যক্তি কেন আত্মবিনাশ স্বীকার.করবে ?" নিস্তারিণী দেবী বল্লেন—“জাতি বলে’ কোন একটা বিশেষ বস্তু ব্যক্তির সঙ্গে পৃথক হয়ে তার প্রতিম্পদ্ধী রূপে আকাশে দাড়িয়ে নেই। 'মনুষ্য হিসাবে মঙ্গুষ্যের যে বিশেষ ধর্ম্ম সেইটিকেই বলি আমরা জাতি । সেটা একদিকে যেমন ব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে সকল মানুষের মধ্যে, তেমনি রয়েছে একজন মানুষের মধ্যে। অমমৃত্ত্বোচিত ধর্ম্মগুলির মধ্যে মনুম্বোচিত ধর্ম্মটি চাইছে প্রকাশ লাভ করতে, এই প্রকাশলাভ করার চেষ্টার মধ্যেই রয়েছে তার মঙ্গল । যেমন প্রতি যুদ্ধে ব্যক্ত হয় বীরের বীরত্ব, ধ্বংস হ’লেও বীবের বীরত্ব নষ্ট হয় না, তেমনি এই মনুষোচিত ধর্ম্মটি আত্মপ্রকাশ লাভ করতে চেষ্টা করে’ যেখানে অসমর্থ হয় সেখানেও তার আত্মপ্রকাশের মহিমা ক্ষুন্ন হয় না । যে যা, তার সেইভাবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টাই তার মঙ্গল, কারণ সেইখানেই হয় তার উদ্দেশ্বের পরিপূরণ । মানুষের মধ্যে যে পশুচিত প্রবৃত্তি রয়েছে তারও মঙ্গল হচ্ছে সেই পশুচিত ভাবপ্রকাশে । সেই প্রকাশের মধ্য