পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৫৭ দিয়ে সে পাবে তার জয় এবং সার্থক করবে তার ভবিষ্যৎ ইতিহাসকে, - ভবিষ্যৎ উদেশ্বকে মন্থযোচিত ভাবের প্রকাশে, পরম গৌরবের মধ্য দিয়ে ।” স্বজাতা আবার জিজ্ঞাসা করলে—“মুখ আর মঙ্গলের মধ্যে মনে হচ্ছে আপনি একটা ঘোরতর পার্থক্য আছে বলে’ মনে করেন, কিন্তু আমরা চলিত কথায় মুখ ও মঙ্গল একই অর্থে ব্যবহার করে থাকি।” নিস্তারিণী দেবী বল্লেন—“যেমন আনন্দ আর স্থখ এক নয়, মঙ্গল । ও স্থখও এক নয় এবং মঙ্গলের বিপরীত দুঃখ নয়। যে কোনও প্রকারের দ্বন্দ্ব থেকেই আসে দুঃখ । দ্বন্দ্ব হ’ল জীবনের ধর্ম্ম, তাই দুঃখ অপরিবর্জনীয়। জীবলোকের আদি থেকে ভবিষ্যৎ মানুষের চরম পরিণতি পর্য্যন্ত সর্ব্বত্রই রয়েছে দুঃখ, সেইজন্যই আমাদের । শাস্ত্রকারের বলেছেন—সর্ব্বং দুঃখময়ং জগৎ । জীব অজীব সর্ব্বত্রই চলেছে একটা ভাবনা, একটা পরিবর্তন, একটা ক্রিয়া, এবং ক্রিয়ামাত্রের মধ্যেই রয়েছে দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব চেতনার মধ্যে প্রতিফলিত হ’লে যে অমুভবের স্বষ্টি করে তাকে বলি দুঃখ । দুঃখ জীবনের প্রতিকূল ধর্ম্ম । এই প্রতিকূল ধর্ম্মকে ক্ষণে ক্ষণে আমরা করি পরাজিত এবং সেই দুঃখ পরাজয়ের যে অনুভব তাকে বলি আমরা মুখ । এইজন্য এক হিসাবে সুখকে বলা যায় সাফল্য, কিন্তু ক্রিয়াপ্রবৃত্তির মধ্যে যে প্রেরণা আছে, সেই প্রেরণা যে নিজেকে মুক্ত করে, সেই মুক্তির যে অনুভব, তাকে বলি , তাকে বলি মঙ্গল । প্রেরণা যখন তার আপন বহির্ভূত কোনও কারণের দ্বারা প্রতিহত হয় তখন সেই স্বস্ব আনে দুঃখ । কোনও দুঃসহতম কঠোর দুঃখের কালেও আমরা আমাদের প্রেরিত করে তৃপ্তিলাভ করি। সেট_আত্মপ্রকাশের আনন্দ, প্রেরণার আনন্দ । সেটিই হচ্ছে যথার্থ মঙ্গল । সেইজন্য । » ጓ 哆