পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१४ অধ্যাপক দুঃখ যেমন ব্যাপ্ত হয়ে আছে জগতে তেমনি মঙ্গলও ব্যাপ্ত করে আছে জগৎকে । সহস্ৰ স্থথে জীবন স্বচ্ছন্দে চলে যেতে পারে, তবু যদি সেখানে আত্মপ্রকাশের মহিমা না থাকে সে জীবন হবে নিরানন্দ এবং অমঙ্গল । জীব যে আপন জৈব ধর্ম্মকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে, আহারের অন্বেষণে চারিদিকে ধাবমান হয়, সেটা জৈব প্রকাশের আনন্দ, আর এই ইতস্তত: পরিধাবনের সঙ্গে সঙ্গে থাকে জীবদেহের যান্ত্রিক ক্লান্তি, যান্ত্রিক দুঃখ । এই দুঃখের মধ্য দিয়ে ছাড়া জীব তার জৈবধর্ম্মের স্বস্তি খুজে পায় না। এ কথা আমি একবারও বলতে চাই না যে ভগবান যা করেন সবই আমাদের সুখের জন্য । চলবার সময় এক পা যখন আকাশে থাকে, আর এক পা থাকে ভূমিতে তখন অনুভব করি দুঃখ, দ্বিতীয় পাটি যখন মাটিতে পড়ে দুঃখ তখন হয় অতিক্রান্ত, আসে মুখ । তবু চলতে হ’লে এক পা তুলতেই হবে, সে দুঃখ পেতেই হবে । সে দুঃখ কোথায় বেশী হ’ল, কোথায় কম হ’ল, সেটা নির্ভর করে প্রাকৃতিক কারণের উপর । পিচ্ছিল ভূমিতে আছাড় খেলুম বলে বিশ্বনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা যায় না, কারণ সেটা নিয়মের অন্তর্গত । তুমি যে নিজের মনের মধ্যে আত্মপ্রকাশের বেদন অমুভব করছিলে সে তোমার অধ্যাত্ম জীবনেব বেদন । গভীর গুহার মধ্য থেকে তাকে আজ তুমি মুক্ত করে দিয়েছ প্রান্তরের মধ্যে, সে এখন তার পথ খুজে নেবে আপন বেগে । তাতে তুমি দুঃখ পেলে, কি আর কেউ দুঃখ পেল, সে কথা ভাববার প্রয়োজন নেই। আপন আত্মপ্রকাশের চেষ্টায়, আপন মঙ্গলের চেষ্টায় আমরা যদি স্বাক্ট করি দুঃখ এবং মৃত্যু, তবে তা শোচনীয় নয়। কারণপরম্পরার মধ্যে নিহিত হয়ে রয়েছে সেই দুঃখ ও সেই মৃত্যু । সেইজন্য গীতাতে অর্জুন যখন স্বজনহিংসার ভয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত হতে