পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨ઉ ૭ চেয়েছিলেন, অর্জনের সে চেষ্টাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কাপুরুষতা ও ক্লৈব্য বলে’ ঘোষণা করেছিলেন। অর্জন ছিল ক্ষত্রিয়, সে এসেছিল ন্যায়ুধর্ম্মের অধিকারকে রক্ষা করবার জন্য । সেইটিই ছিল ক্ষত্রিয়ত্বের স্বধর্ম্ম । সেই স্বধর্ম্মপ্রকাশের পথে পরিপন্থী হয়ে যা দাড়াবে, দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘর্ষের ফলে হয় ত সেখানে আসবে মৃত্যু । সেখানে বিধেয় ছিল স্বধর্ম্মপ্রকাশ, হিংসা নয়। হিংসা যদি ঘটে তার ফলে, সেজন্য স্বধর্ম্মপ্রকাশের চেষ্টাকে দোষ দেওয়া যায় না। এজন্য ভগবান বলেছিলেন—এরা পূর্ব্ব থেকেই মরে’ আছে, মহানিয়মের মধ্যে এদের মৃত্যু অঙ্কিত হয়ে গিয়েছে, অর্জন কেবল সেই অঙ্কনকে পরিস্ফুট করে’ তুলবেন মাত্র। হিংসা উদেহু করে যখন আমরা হিংসা করি, অন্তরের সেই জিঘাংসাবৃত্তি পাপ । হিংসা না থাকলেও সেই জিঘাংসা-বৃত্তি হয় পাপ | আপন কর্ত্তব্যকর্ম্ম করতে গেলে তার ফলে যদি হয় জিঘাংসা, ' তাকে পাপ বলা যায় না । মানসিক হিংসা বর্জনীয়, কিন্তু কার্য্যভঃ হিংসা আবর্জনীয় । প্রতি পদক্ষেপে লক্ষ প্রাণী বধ হচ্ছে, কিন্তু সেখানে হিংসার প্রবৃত্তি নেই, জিঘাংসা নেই । তাই ফলতঃ হিংসা হ’লেও, যে হাটে তার চলার জন্য কোন পাপ হয় না ।” মুজাতা বল্লে—“এ সমস্ত গভীর কথা বুদ্ধিতে বুঝলেও হৃদয়কে বোঝান কঠিন । হৃদয় আর্ত্ত হয়ে ওঠে চারিদিকে দুঃখ দেখে’, যে দুঃখের নিমিত্ত বলে আমাকে আমি ক্ষমা করতে পারি না । তবে আপনি যে এসেছেন তাতে আমি খুব স্বস্তি বোধ করছি। আপনি এখন এখানেই থাকুন। আপনাকে কাছে পেয়ে আমার মনে হচ্ছে যেন আমার মাকে ফিরে পেলুম।” নিস্তারিণী দেবী স্নিগ্ধভাবে তার মাথায় হাত বুলোতে লাগলেন। এমন সময় এল প্রভা । সে বিস্তারিত করে’ বল্পে কানাইয়ের বিচারের