পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬০ অধ্যাপক দিনের কথা, সে কি রকম তেজস্বিতার সঙ্গে জেলে গিয়েছে এবং বিন্দুমাত্রও অনুশোচনা করে নি, বা নিজেকে বাচাবাব চেষ্ট কবে নি । স্বজাত স্থির হয়ে সব কথা শুনতে লাগল, তার চোখ এল জলে ভরে । প্রভা আবাব বল্লে—“শুনেছিস আর একটা কথা ?” সুজাতা বল্লে—“কি ?” “আমাদেব অধ্যক্ষ নাকি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন সবকাবেব কাছে । তিনি বলেছেন, এতগুলি মেয়ের বিরুদ্ধে আমি কোনও কঠোব শাস্তি দিতে অক্ষম ।” সুজাতা ও নিস্তাবিণী দেবী উভয়েই অত্যন্ত বিস্মিত হ’ল । নিস্তারিণী দেবী বল্লেন—“দেখ, মানুষকে বিচার কবতে আমবা কত ভুল কবি। এই অধ্যক্ষেব বিরুদ্ধে মেয়েদেব ছিল কত রোষ, কত অক্রোশ । কিন্তু এই ইংরেজমহিলা আমাদের মেয়েদেব সঙ্গে ব্যবহারে যে মহত্ত্ব ও তেজস্বিত দেখালেন তাতে চিবকাল উজ্জ্বল কবে? রাখবে ইংরেজ জাতির মহত্ত্ব ।” সুজাতা বল্লে—“এমন অধ্যক্ষের কাছে মেয়েদের ক্ষমা চাওয়া উচিত তার আদেশ পালন কবে নি বলে’ ” নিস্তারিণী দেবী বল্পেন—“সে কথা তুমি কিছুতেই মেয়েদের বোঝাতে পারবে না । তাদের মাথা রয়েছে গরম হয়ে । তারা ত স্থিরবুদ্ধিপূর্বক কোন কাজ করে নি। দেশময় চারিদিকের উত্তেজন৷ দিয়েছে তাদের নাড়ীতে আগুন ধরিয়ে, সে আগুন নেবানো সহজ নয় । যাক, এ আর তোমাব বিষয় নয়, এ জন্য তোমার মাথা ঘামিয়ে কাজ নেই।” এই সময় মঞ্জরী এসে উপস্থিত হ’ল । মঞ্জরীকে দেখে স্থঞ্জাতা বল্লে-“তুই এতদিন কোথায় ছিলি ?”