পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৬৩ আছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা, না আছে সৌজন্তবোধ। আমি ওকে স্পষ্ট বলে’ দিয়েছি—সরে’ পড়, এদিকে তোমার কোনও আশা নেই।” মঞ্জরী অজয়কে চিনত না, তার নাম শুনেছিল মাত্র। সে এই কথাগুলি উৎকণ্ঠিত হয়ে শুনতে লাগল এবং দেবলোকের কোন সাক্ষী সেখানে উপস্থিত থাকলে তিনি নিশ্চয় প্রত্যক্ষ করতে পারতেন যে তার অন্তলোকে একটা বিদ্যুতের ঝিলিক খেলে গেল । এইসব কথা যখন হচ্ছিল তখন সিড়ির উপর শোনা গেল কতগুলো ভারী ভারী বুটের শব্দ। প্রভা বারান্দায় গিয়ে রাস্তায় তাকিয়ে দেখল সমস্ত বাড়ী ঘেরাও করেছে বন্দুকধারী পুলিশ। একটা মেশিনগানও সামনে আছে । ঘরে ফিরে আসতে না আসতে দেখা গেল রিভলভারধারী চার-পাচজন সাজেন্ট ও দেশীয় পুলিশ কর্ম্মচারী এসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে । জিজ্ঞাসা করলে—“কার নাম স্থজার্তা দেবী ?” মেয়ের সকলেই ভীত আড়ষ্ট হতবুদ্ধি হয়ে উঠে দাড়াল। স্বজাত ধীর ও অকম্পিত কণ্ঠে বল্লে—“আমার নাম স্থজাতা ।” পুলিশ কর্ম্মচারীদের অগ্রণীটি বল্লে—“আমাদের ওয়ারেন্ট আছে এই বাডী সার্চ করবার ।” স্বজাত বল্লে—“করুন ইচ্ছাস্থখে সার্চ ” অনেকক্ষণ বসে চলল এই নিষ্ফল কর্ম্ম । কিছু না পেয়ে পুলিশ বল্লে—”এই আপনার সমস্ত, না অন্য কোথাও কিছু আছে ?” সুজাতা বল্লে—“না, অন্য কোথাও কিছু নেই ।” একটা আনন্দবাজার পত্রিকা পড়েছিল, সেখানায় ছিল কানাইয়ের একটা ছবি । ইনপেক্টর সে ছবিটা হাতে নিয়ে তাকে বল্লে—“এর সঙ্গে আপনার কতদিনের মেলামেশা ?”