পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৬৭ সুকুমারের কি অনুমান করা উচিত ছিল না যে রোহিণীর উদয় হয়েছে আসন্ন ? ভেসে উঠল আবার তার হৃদয়ের মধ্যে মঞ্জরীর রূপ। সে কি আকর্ষণ, সে কি দহন দাহ তোলে রক্তের শ্রোতের মধ্যে ! আগুনের মত প্রজ্জ্বলিত করে যৌবনের ক্ষুধা! আর সুজাতা ! সে ত আগুন নয়, সে ত দহন-জ্বালা তোলে না ধমণীর রক্তের মধ্যে, সে ত পুড়িয়ে দেয় না হৃদয়কে—তবু সে থাকে যে দীপ্যমান হয়ে হীরকখণ্ডের ন্যায় জ্যোতিতে ! সে জ্যোতি দুর্দ্দাম অগ্নিজালার ন্যায় হঠাৎ জলে’ ওঠে না, হঠাৎ নেভবারও কোনও সম্ভাবনা নেই। সে থাকে স্থির, দৃঢ়, আচঞ্চল, তেজস্বী । সে তার স্থির দু্যতিতে, স্নিগ্ধ জ্যোতিতে, হরণ করে অন্ধকার তার স্বপ্রকাশের মহিমায়, দগ্ধ করার জন্য নয় । কোন ছলে যে তার আত্মভোলা মন অসহিষ্ণু হয়ে এল, দূরে সরে’ এল এই মহৎ হৃদয়ের কাছ থেকে, তার কারণ সে অস্তুভব করতে পারলে না । অলক্ষ্যে প্রবেশ করেছিল তার হৃদয়ের মধ্যে মঞ্জরীর আকর্ষণ । অন্ধকার রাত্রিতে অন্ধ করে দেয় যখন চক্ষু অতি তীক্ষ তীব্র বৈদ্যুতিক রশ্মিতে, তথম মানুষ হয় দিকভ্রান্ত, শুস্তিত ; তার চেতন হয় জড়, কর্ম্মশক্তি হয় খর্ব্ব । আবার তার মনে হ’ল, ভালবাসার কথা ছেড়ে দিলেও সে যে ছিল সুজাতার অভিভাবক । আজ কি বলে তার লাঞ্ছনার দিনে সে রইল গা ঢাকা দিয়ে ? তার স্বপ্ত চেতনা জাগ্রত হয়ে তাকে বললে—তুমি ত একটা কাপুরুষ । পুলিশের ভয়ে, ঝঞ্জাটের ভয়ে তুমি এগোওনি তার কাছে । আর কেমন অনায়াসে এই অপরিচিতার জন্য আত্মবলিদান করলে কানাই, ভাবলে না এক মুহূর্ত্ত তার বিপদের কথা ! আর কি বীর এই কানাই—একলা করলে আটজনকে ভূমিশায়ী ! কিন্তু কে বলবে কানাই স্বজাতার একান্ত অপরিচিত ? সেদিন যে