পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Sግ¢ স্বকুমার বললে—“আমি ত তার জন্য কিছুই করতে পারলুম না। আমার অর্থ আছে, শরীরে বল আছে, সাহসও আছে, কিন্তু তথাপি আমার সমস্ত আন্তর ধাতুর মধ্যে কিসের যেন একটা শৈথিল্য এসেছে যাতে আমার বুদ্ধিকে করেছে জড়, আমার শক্তিকে নিয়ে গেছে আমার নাগালের বাইরে, আমার সাহসকে করেছে পদু। সেই যে মানুষের একটি সহজ সরল রূপ আছে, যার দ্বারা মুহূর্তের ইচ্ছশক্তির মধ্যে সে নিয়ে আসতে পাবে তার সমস্ত চরিত্রের বল, তার বুদ্ধির দীপ্তি, প্রকাশ করতে পাবে আপনাকে একটা গোট। মাতুষ-রূপে, দেহ ও মনে অনুভব করতে পাবে একত্ব, আমার সেই স্বরূপটিকে যেন আমি ফেলেছি হারিয়ে । অথচ আমার মনে পড়ে আমি ত এ বকম , লুম না।” প্রভা জবাব করলে—“হয়ত স্বজাতা-দি’র এ রকম আকস্মিক ল্যাপাবে আপনার মনটা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে । এখন আপনার দেহটা না ভেঙ্গে পড়ে সেটা দেখতে হয় । আপনার খাওয়া-দাওয়া দেখে কে ?” হুকুমার হো হো করে হেসে বললে—“আমাব আবার খাওয়াদাওয়া দেখবে কে ? চাকর বামুনে দেখে, আমি নিজে দেথি । আমার কোন অজীর্ণ নেই, কোন অস্ত্র নেই, কোন ব্যাধির উপসর্গমাত্র নেই। আমার এই দেহখানা দেখলে ব্যাধি ত ব্যাধি, যমের দূতেরাও ভয় পেয়ে পালায় । তা ছাড়া চিরকাল ত আমার এ রকম চলছে । মা মারা গেছেন বাল্যকালে, ভগ্নীটগ্রীও নেই। ব্যাচিলার মানুষ । আমার আবার দেখাশুনা করবে কে ?” প্রভা একটু হেসে জিজ্ঞাসা করলে—“তা এত বয়স পর্য্যস্ত ব্যাচিলারই বা রইলেন কেন ? বাঙ্গালীর ঘরে এমনটি ত বড় হয় না।