পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক &brᏠ তার আছে একটু শ্রদ্ধা তার মহত্ত্ব দেখে’—ভাল সে আমাকেই বাসে । নইলে কেন সে বল্পে প্রভাকে আমার খোজ নিতে ? আমন বিপদের সময় নিজের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ স্বচ্ছন্দ হয়ে আমার কোথায় কি অসুবিধা হবে সেইজন্য কেন সে উঠুল ব্যাকুল হয়ে ? একজনকে ভালবাসলে যে আর একজনকে শ্রদ্ধ করা যায় ন! এমন ত নয় । কত লোক ত রবীন্দ্রনাথকে কবি হিসাবে কত শ্রদ্ধা করে, তা বলে’ কি তারা তাদের প্রিযজনকে সারা মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসে না ? মঞ্জরী সুকুমারের মুখের দিকে তাকিয়ে নিমেষে বুঝে নিলে তার মনের কথা । বুঝলে যে তার প্রয়োগ লক্ষ্য ভেদ করেছে । সে আবার প্রশ্ন করলে— “আচ্ছা, ধরেই নাও, যদি এখন তুমি জানতে পার যে সে তোমাকে ভালবাসে তা হ’লে কি আমাকে ভাসিয়ে দেবে, দেবে না আমাকে স্থান তোমার মেহের ছায়ায় ?” স্বকুমার একটু থতমত খেয়ে বল্লে—“এ সব কথা তুমি কি বলছ ? প্রথমতঃ, সে আমাকে ভালবাসে না । দ্বিতীয়তঃ, যদি সে ভালবাসেও তা বয়েছে আমার অবিদিত । যা আমার জ্ঞানের বাইরে তার কোনও সত্তা নেই আমার কাছে । তোমার ভালবাসা আমার প্রত্যক্ষ । এই প্রত্যক্ষ ভালবাসার স্রোতে আমি ছুটেছি তোমার দিকে, যেমন ছোটে চালু পথ দিয়ে পাহাড়িয়া ঝরণা।" মঞ্জরী আবার বল্লে—“যা অপ্রত্যক্ষ তা মুতও নয় অসংও নয় । সে বসে থাকে আপনাকে প্রকাশ করবার জন্য, অপেক্ষা করতে থাকে অবসর জলধারার ও কালের জন্য । এই যে নদীতীর দেখছ আজ শুকনো, খালি বালুচর আর শুকনো মাটি, বর্ষাকালে দেখবে এ পূর্ণ হয়ে গেছে অগণ্য শম্পরাজিতে । শীতের বিশুষ্কতায় তার সমস্ত পাতা ঝরে গেছে, তার চিহ্নমাত্রও এখন দেখবার উপায় নেই, কিন্তু