পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミbrbr অধ্যাপক তার মূল হয় ত রয়েছে নিবিড় হয়ে ভূগর্ভে। বর্ষার জলধারার প্রসেকে সে আবার সবুজ স্যামল হয়ে উঠবে জীবন প্রবাহের উল্লাসে । তেমনি তোমার মনের মধ্যে হয় ত রয়েছে তার ভালবাসার মূল প্রোথিত হয়ে তোমার চেতনার গভীর-লোকে, সে হয় ত কোনদিন কোনও স্বলগ্নে পূর্ণ হয়ে প্রকাশ পাবে তার হামল শোভায় । তখন আমাকে নিয়ে তুমি করবে কি ?" স্বকুমার বল্লে—“তুমি বিশ্বাস করতে পার আমাকে যে তোমাকে যখন আমি বিবাহ করছি তখন তোমার প্রতি আমি কখনও অবিশ্বাসী श्व मां |” মঞ্জরী বল্লে—“অবিশ্বাসী হবে না এ কথার মানে কি ? লৌকিক প্রথায় এবং আইনের চক্ষুতে এই বিশ্বাসের অর্থ দেহগত একনিষ্ঠতা, কিন্তু মন যেখানে দ্বিনিষ্ঠ হয় কিংবা মনের নিষ্ঠ যদি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে’ যায় তবে দেহগত একনিষ্ঠতার অর্থ কি ? বিবাহ একটা লৌকিক রচনা, তার উদ্দেশ্য পরিবার-স্থষ্টি ও পরিবার গঠন এবং সমাজের দাবী এই যে এই স্বল্প পরিবারের ভরণপোষণের ভার নেবে স্বামী । সে স্ত্রীকেও ভরণপোষণ করবে এবং পুত্রকস্তাদেরও সাবালক হওয়া পর্য্যন্ত ভরণপোষণ করবে। সেইজন্য সমাজ চায় স্ত্রী বা পুরুষ যাতে পরস্পরকে উপায় না করে অন্যত্র স্বষ্টি না করে কারণ তা’ হ’লে সেই স্বই সস্তুতি বিপন্ন হ’তে পারে, পুরুষ তার ভার বহন করতে অস্বীকার করতে পারে । তা ছাড়া পুরুষের ধন যাতে সন্তানসন্ততিক্রমে যথাসম্ভব অবিভক্ত থাকতে পারে এবং যাতে পরিবারগত ঐক্যের দ্বারা ধন সঞ্চিত করে? ধনশ্বষ্টি করতে পারে এইটেই হ’ল বিবাহের সামাজিক দিক । এই জন্য সমাজকর্ত্তারা দেহগত একনিষ্ঠার প্রতি এত সতর্ক । তথাপি হিন্দু সমাজ অধিকার দিয়েছে