পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯২ অধ্যাপক সুকুমার আবার বল্পে—“কিন্তু কোথাও কেউ দখল স্বত্ব স্থাপন করবে না এবং নিজেকে কারুর দখলীস্বত্বের মধ্যে ছেড়ে দেবে না, এরকমভাবের প্রেম যদি বহুধা ব্যাপ্ত হয় ত তাতে ক্ষতি কি ? মা কি তার পাচটি ছেলেকে ভাল বাসেন না ? তুমি কি তোমার পাচটি বন্ধুকে ভালবাস না ?” মঞ্জরী বল্লে—“সে রকম ভালবাসা ততক্ষণই অবিরোধে চলতে পারে যতক্ষণ একে অপরের উপর দখলীস্বত্ব স্থাপন করতে না চায় । দখলীস্বত্ব স্থাপন করতে এলেই বাধে বিরোধ। তুমি ত আমাকে সোজা কথার জবাব দিতে পারলে না যে আমি যদি আর একজনকে ভালবাসি তুমি সেটা সহ করতে পার কি না ।” সুকুমার বল্লে—“পারি, যদি জানি যে আর একজনকে দিতে গেলে আমার ভাগ কম পড়ে যাবে না ।” মঞ্জরী আবার বল্লে—“এ আশঙ্কা ত আমাদেরও থাকে তোমাদের সম্বন্ধে ।” সুকুমার বল্লে—“এ সম্বন্ধে হয় ত মেয়ে ও পুরুষের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে । কুলক্রমাগত অভ্যাসে ও প্রাকৃতিক নিয়মে মেয়ে চায় তার ভালবাসার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে কারুর অধিকারভুক্ত করে তার উপর নির্ভর করতে, সে সর্ব্বদাই আশ্রয়প্রাথিনী, আশ্রয়দাতা নয় । যে আশ্রয়প্রার্থিনী সে স্বাভাবিকভাবেই তার ভালবাসার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়ের পরিবর্তন করে । একট। গাছে পাচটা পার্থী বসে থাকতে পারে নির্ব্বিরোধে, কিন্তু একটা পাখী পাচটা গাছে বসতে পারে না ।” মঞ্জরী বল্লে—“যদি কেউ পারে ?” সুকুমার বল্লে—“যে নারী স্বভাবকে অতিক্রম করেছে তার কথা আলোচনার বিষয় নয়। কিন্তু তুমি কেন একথা মনে কর যে ভাল