পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪૭ অধ্যাপক পিছনে চলা তার থেমে যাবে । এ সমস্ত কথা আমি বলছি অবশু কোনও নিরুপাধি প্রেমের প্রতি লক্ষ্য না করে’ কারণ সে বস্তুটাকে তুমি বিচারের মধ্যেই আনতে চাও না। কোনও জমির উপরে দথলী স্বত্ব ততক্ষণই করা যায় যতক্ষণ কোনও দিক থেকে তার বিরোধ না আসে কিংবা বিরোধেও করতে পারি আমাকে আমি স্থাপন কিংবা করতে পারি সেই জমিতে পাদচারণ । কিন্তু জার্ম্মাণীর ভূখণ্ড আমার, এ কথা একান্ত বাতুল না হ’লে কেউ দীর্ঘকাল কল্পনা করতে পারে না । যে ভালবাসা নির্ভর করে দখলী স্বত্বস্থাপনের উপর, সেই স্বত্ব স্থাপন করা যখন হয়ে পডে একান্ত অসম্ভব, সেখানকার ভালবাসা হয়ে আসে আস্তে আস্তে স্নান । কিন্তু যে ভালবাসা কোনরকম আদানপ্রতিদান পাবে না কিংবা ভালবাসার পাত্রের কাছে যে ভালবাসা ব্যক্ত করাও সম্ভব হবে না, তারও জন্য হয়ত কোথাও দরদ থাকতে পারে প্রচ্ছন্ন হয়ে নিজের আডালে, কিন্তু একান্ত দুষ্প্রাপ্য বস্তুর পিছনে পাগল ছাড়া আর কেউ ছুটে যেতে পারে না ; পাগল যে, অন্ধ যে, মুগ্ধ যে, তার মনে একবার যে ঢোকে সে আর বেরুতে চায় না । সচল যে, জীবিত যে, তার পক্ষে আলেয়ার আলোর পিছনে ছুটে চলা সম্ভব নয় ।” - মঞ্জরী বল্লে—“তবুও আলেয়ার পিছনেও লোক ছোটে ।” সুকুমার বল্লে—“ছোটে । যতক্ষণ বিশ্বাস থাকে যে সে আলোর পিছনে আছে মানুষ, সে দেখিয়ে দেবে একটা বিপথের মধ্যে পথ, কিন্তু যখন পথিক বোঝে যে ও আলো দপ করে জলে’ ওঠে এখন এখানে তখন সেখানে, ও আলো আমাদের কোথাও নিয়ে যেতে পারে না, আর ওর পিছনেও নেই কোনও মানুষ, তখন আর কোনও সুস্থ পথিক তার পিছনে ছুটতে পারে না ।”