পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক २$8 ছবিটি পড়েছে আমার হৃদয়ে তাকে উজ্জ্বল করে রাখব সন্ধ্যারতির প্রদীপশিখা দিয়ে, সেটুকু থাকবে আমার সমস্ত জীবনের সম্পত্তি হয়ে ।” তার চোখ দু'টি হয়ে এল অশ্রুসিক্ত, এক ফোটা অশ্র গড়িয়ে পড়ল মুকুমারের হাতের উপরে। মুকুমার চমকে উঠে তাকালে মঞ্জরীর মুখের দিকে, একান্ত বিগলিত হয়ে টেনে নিল তার হাতখানা, কাধের উপর টেনে নিল তার মাথা । অত্যন্ত বিগলিত হয়ে বল্লে—“জানি মঞ্জরী, জানি, তুমি নইলে আমি বঁচিতুম না।” * কিছুক্ষণ রইল দু’জনে স্তব্ধ । দক্ষিণের বাতাস মৃদুমন্দ দোলা দিয়ে যেতে লাগল মঞ্জরীর সযত্নবিন্যস্ত চূর্ণকুন্তলে, তার মণিপ্রোদ্ভাসিত কর্ণাভরণ পশ্চিম স্থর্য্যের আলোতে ঝকমক্‌ করে লাগল দুলতে । কোনও দেবলোকের দূত যদি সেখানে উপস্থিত থাকত সে প্রত্যক্ষ করতে পারত বিশ্বমোহিনী মায়া আজ মূর্ত্তিপরিগ্রহ করেছে মঞ্জরীর মধ্যে আর সে মায়া সুকুমারকে আশ্রয় করে করেছে তাকে আচ্ছন্ন । আজ সে বিক্ষেপ স্থষ্টি করবে সুকুমারের সমস্ত চিত্তের উপর, বিপর্য্যয় ঘটাবে তার জীবনে । মঞ্জরী ধীরে ধীরে তার pig leatherএর vanity case থেকে বের করলে একখানি চিঠি । অনেকদিন পূর্বে কানাই মঞ্জরীকে লিখেছিল একখানা চিঠি । এ রকম অনেক চিঠিই সে লিথত । কতকগুলোতে থাকত গভীর প্রণয়োচ্ছাস, আকুল আর্ত্তি । সেগুলো সব জমা করে রেখেছিল মঞ্জরী তার একটি পেটরার মধ্যে । যে-সমস্ত চিঠিতে কানাইয়ের প্রেম উগ্র হয়ে প্রকাশ পেয়েছে তার একটিও মঞ্জরী আনে নি, সে বেছে বেছে এনেছিল এমন একখানি চিঠি যাতে নাম সম্বোধন ছিল না, তারিখ ছিল না । চিঠিখানি খুবই ফিকে রঙের, কিছুমাত্র উগ্রতা ছিল না তার মধ্যে, কিন্তু যেটুকু ইঙ্গিত ছিল তার মধ্যে তাতে একথা বেশ স্পষ্ট প্রকাশ হয়েছিল যে