পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) o o অধ্যাপক সে কারুর কাছে প্রণয় নিবেদন করছে এবং যার কাছে করেছে তার কাছে পেয়েছে প্রচুর উৎসাহ ও প্রশ্রয় । চিঠিখানা যদি একটু মনোযোগের সহিত নিরীক্ষণ করে দেখত তা হ’লে মুকুমার দেখতে পেত যে চিঠিখানির কালি এসেছে স্নান হয়ে, কাগজখানি জীর্ণ। কিন্তু আজ মুকুমারের দৃষ্টি আচ্ছন্ন আর মঞ্জরী তার নিজের হাতে ধরেছিল চিঠিখান এবং মুকুমারের চিঠিখানা পড়া শেষ হওয়ামাত্র সে চিঠিখানা নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে বল পাকিয়ে ফেলে দিলে রেলিংএর বাইরে ভাগীরথীর গর্ভে । সুকুমার ক্ষণকাল স্তব্ধ হয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করলে—“এ চিঠি তুমি পেলে কোথায় ?” মঞ্জরী বল্লে—“পুলিশ খানাতল্লাসী করতে যখন আসে আমি তখন সেখানে ছিলাম । পাছে পুলিশের লোকেরা কানাইয়ের চিঠিগুলি পেয়ে সেগুলি নিয়ে তার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারে সেই ভয়ে সকলের অলক্ষ্যে সে আমার হাতে এক তাড়া চিঠি দিয়ে দেয় । তারই মধ্য থেকে একখানা চিঠি কোনক্রমে রয়ে গিয়েছিল আমার এই ব্যাগের মধ্যে । নইলে তার চিঠি আমি দেখতুমও না, পড়তুমও না । তার আর সমস্ত চিঠি আমি পুড়িয়ে ফেলেছি।” ষ্টীমার গিয়ে পৌছাল রাজগঞ্জের ঘাটে । সুকুমার ও মঞ্জরী উভয়েই ঈষৎ বিষন্নভাবে ঘাটে নেমে এল । ঘাটে নেমে কিছুক্ষণ তারা বসল ঘাটের উপরে ৷ ষ্টীমার দিল ছেড়ে । মঞ্জরী বল্লে—“তুমিও ভাবাবেশে আবিষ্ট হয়ে গেছ দেখছি, ষ্টীমার যে ছেড়ে দিল, এখন যাবে কি করে’ ?” স্বকুমার বল্লে—“ও আমি ইচ্ছা করে’ই ছেড়ে দিয়েছি । রাজগঞ্জে ভাল ভাল পানলী পাওয়া যায়, একখানা পানসী ভাড়া করে কলকাতায়