পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ○o> ফিরে যাওয়া যাবে। কোটালের জোয়ার আর একটু পরেই আরম্ভ হবে, কলকাতায় যেতে বেশী সময় লাগবে না।” মঞ্জরীর মুখ উৎফুল্ল হয়ে উঠল—যেন অকালের বিকচ কদম্ব । প্রাচীনকাল থেকে মায়াবিনীরা ভেসে আসে মায়াপুরীর ভেলায়, মামুষের হাড়ে খেলে তারা যাদু । আজ এই তরুণীর মনে এই তরীতে ভাসান দিল তার কল্পনার মায়ামন্ত্রগুলি । কিছুক্ষণ পরে মঞ্জরী বল্লে— "তুমি এত ভাবাবিষ্ট হ’লে কেন ? তোমার বাধা নোঙর ছিড়ল নাকি ?” স্বকুমার বল্লে—“নোঙর যে কোথায় বেঁধেছিলুম তা ত মনে করতে পারি না, কিন্তু হয় ত বা কোথাও মনের অজান্তে দু’একটা রশিরশা তীরতরুতে আটকে ছিল । সেগুলো ছিড়ে দিয়ে মুক্ত হ’ল আজ আমার চিত্ত ।” মঞ্জরী বল্লে—“মুক্তি কে পেল না পেল সে কথা নির্ভর করে না মানুষের নিজের মুক্তিবোধেব উপর, সে কথা নির্ভর করে বাস্তব সত্যের উপব । আজ যেখানে মুক্ত মনে নিজেকে করে দিয়েছ রওনা, ভাসিয়েছ পাল, ভেবেছ তীরের সঙ্গে সম্বন্ধ হয়েছে ছিন্ন, হঠাৎ হয় ত দেখবে দাড় আর চলে না, নৌকা ঠেকেছে চডায় ।” স্বকুমার বল্লে—“তুমি কি বলতে চাইছ ?” মঞ্জরী বল্লে—“তোমাকে আমি ভালবাসি। ভালবাসা চায় না গ্রাস করতে, সে চায় মঙ্গল বিতরণ করতে । আমি চাই না আঞ্জ তোমার এই দুর্ব্বল মুহূর্ত্তের অবসর নিয়ে সপ্তপদী গমনের সঙ্গে তোমার চিরদিনের গমন আবদ্ধ করতে আমার পদক্ষেপের সঙ্গে । আমি চাই না যে তোমার মধ্যে আজ যে নিস্তেজত এসেছে, যে শৈথিল্য এসেছে,