পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক جه كيا যে আলস্য বিহবলতা এসেছে, কেবল এদেরই মাত্র সাক্ষী করে কঙ্কনস্বত্রখানি গেঁথে দেব তোমার হাতের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পূর্ব্বেই তুমি বলেছ, যে ভালবাসা দখলী স্বত্ব বিস্তার করে সে ভালবাসা গ্রাস করে, মুক্তি দেয় না । কিন্তু এ বিষয়ে তোমার একটা ভুল হয়েছে । যখন কেউ দখলী স্বত্ব বিস্তার করে’ কাউকে গ্রাস করে ফেলে অজগরের মত তথন তোমার এ কথা সত্য বটে, কিন্তু ভালবাসার এমন একটা স্তর আসে যখন একজনকে অপরের উপর দূখলী স্বত্ব বিস্তার করতে হয় না, একজন আপন আনন্দে দখলী স্বত্ব তুলে দেয় অন্যজনের হাতে ৷ নেওয়ার আর দেওয়ার কোনও ভেদ থাকে না সেখানে । একটি মৃণালতন্তু প্রস্বত হয় হৃদয় থেকে হৃদয়ে, সেখানে থাকে না অগ্রপশ্চাৎ, থাকেন। সেখানে অধিকারী আর অধিকৃতের ভেদ, দু’টি হৃদয় পরিণত হয় একটি হৃদয়ে। হিন্দু বিবাহের মধ্যে বলে—“যদস্তু হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব ।’ এ ‘অস্তু’টাকে সামনে নিয়ে হয় বিবাহ, তাই ‘অস্থাটা থাকে ভবিষ্যতের গর্তে, সে ভবিষ্যতের আশীর্ব্বাদ সফল হবে কিনা তা জানেন বিশ্বকর্ম্মা তার চিত্তে । কিন্তু আমি চাই তোমাতে আমাতে বিবাহ হবে সেদিন যেদিন দেখব যে ‘অস্ক’টা পরিণত হয়েছে ‘অস্তি'তে । আমি চাই তোমার পূর্ব্বের কর্ম্মময়, দীপ্তিময়, চেতনার বাধ্যময় স্বরূপ তুমি ফিরে পাও । তুমি যাও তোমার নবীন কর্ম্মক্ষেত্রে, অর্জন কর তোমার নবীন গৌরব । বিরহ এসে ইতিমধ্যে দগ্ধ করুক আমাদের হৃদয়, যা কিছু কঠিন আছে আমাদের মধ্যে তা উত্তাপে যাক দ্রব হয়ে, যা কিছু খাদ আছে, মলিনতা আছে, ভেসে যাক, উড়ে যাকৃ তা তপ্ত প্রবাহে । তারপরে এই দ্রবীভূত কাঞ্চনপিণ্ডের মধ্যে বইবে একটি স্রোত, যে স্রোতে উভয়ের হৃদয় অভিন্ন হয়ে উঠবে একটি নূতন সত্তার মধ্যে ।”