পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Si e 8 - অধ্যাপক দিয়ে উঠল শিহরণের সঙ্গে এই পবিত্রতার সংস্পর্শে । ঠিক হ’ল, সেই গ্রীষ্মেই সুকুমার রওনা হবে ইউরোপে, অর্জন করে আনবে উচ্চ উপাধি আর ব্যারিষ্টারীর মানপত্র, আর মঞ্জরী শিক্ষা করবে সঙ্গীতবিদ্যা লক্ষ্মেীয়ে থেকে । পানসীতে ভাসান দিয়ে চলল দু’জনে । চতুর্দশীর চাদ উঠেছে আকাশে । তার সন্নিকটে রয়েছে হস্তা নক্ষত্র, আর একটু দূরে রয়েছে উজ্জল চিত্রা । প্লাবিনী জ্যোৎস্নায় সমস্ত দিছ্‌মণ্ডল হয়ে উঠেছে পুলকিত । গঙ্গার প্রবাহ ছুটে চলেছে তরলিত মুক্তার স্রোতে । সমস্ত তটভূমিতে অস্পষ্ট আলোতে স্বষ্টি করেছে আনন্দের মরীচিকা । নীড়ের পার্থীরা স্থপ্ত হয়েছে। দূরে গ্রামের ঘরে ঘরে জলেছে মাটির গৃহদ্বীপ। স্তব্ধ হয়েছে সমস্ত গগন, যেন পান করছে চন্দ্রলোকের স্বধাসমূদ্র । সুর্য্যের আলোতে স্বষ্টি করে দেখা, রাত্রির অন্ধকার আনে অদেখা, চাদের আলোতে আনে দেখা-অদেখা, ব্যক্ত করে সে আপনাকে ধরা-অধরার মধ্যে, যে রহস্তের মধ্যে নিরস্তর খেলা করছে সর্ব্বদেশের সর্বকালের হৃদয়মিথুন। এই ধরা-অধরার লীলার মধ্যে একটি হৃদয় প্রবেশ করে আর একটি হৃদয়ের মধ্যে । ছুই ছুই করে, পারে না তাকে ছুতে, ধবি ধরি করে, পারে না তাকে ধরতে । এরই মধ্য দিয়ে আসে মায়াবিনীর মায়া, কুহকিনীর কুহক, পাপিষ্ঠার পাপ, পাপিষ্ঠের লোভ । এরই মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় সুজনের প্রীতি, এরই মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে নলিনীদলের ন্যায় পবিত্র প্রেমের মিলনজ্যোতি । এরই মধ্যে আসে বিচ্ছেদ, এরই মধ্যে আসে মিলন, বিচ্ছেদে মিলনে একাত্ম হয়ে জেগে ওঠে একটি নবীন সঙ্গীতধারা, বিশ্বের প্রতি স্পন্দনের মধ্যে যাকে পারা যায় অনুভব করতে । জ্যোৎস্নালোকে প্রতিবিম্বিত রশ্মিধারা ছন্দে ছন্দে নেচে চলেছে