পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ७०१ অল্পবয়সী রেখে মারা যান । বাড়ীতে লোকজন, দাসদাসীর অভাব ছিল না, তথাপি শৈশবে সতীনাথবাবু যতটা পারতেন নিজেই পুত্রের দেখাশুনা করতেন । এক শয্যায় তাকে শোওয়াতেন এবং ভোরবেলা নানা প্রাচীন স্তোত্র তার সহিত পাঠ করতেন । তাকে অতি প্রত্যুষে ব্যায়াম করাতেন ও গাড়ীতে করে তাকে নিয়ে বড়গঙ্গায় স্নান করিয়ে আনতেন । বাড়ীতে ছিল কুলক্রমাগত রাধামাধবের মন্দির, পিতাপুত্র এসে তারপর রাধামাধবের পূজারতি দেখতেন । এইভাবে সতীনাথবাবু তার পুত্রের হৃদয়ের মধ্যে কুলক্রমাগত এমন একটা ধর্ম্মসংস্কারের ছাপ গভীরভাবে অঙ্কিত করে দিয়েছিলেন যে পরবর্তী কালের শিক্ষায় তা একটা নুতন অর্থ নিয়ে অভিব্যঞ্জিত হয়ে উঠেছিল, কিন্তু কদাচ মুছে যায় নি। অনেক পরিবারে শিক্ষিত পিতামাতা আপন আপন নিঃসংস্কার বা স্বল্পসংস্কার ব৷ অতিমাজ্জিত-সংস্কার ধর্ম্মমত অনুসারে পারিবারিক জীবন গঠন করে থাকেন । তার একটা বিঘ্ন এইখানে যে বাল্যজীবন অনেকটা বন্য জীবন সদৃশ । সেই জীবনে পূজাআচ্চার যা কিছু বহিরঙ্গভাবে শোভন ও সুন্দর তাই মনকে আকর্ষণ করে থাকে । সেই আকর্ষণের মধ্য দিয়ে মানুষ মূঢ়ভাবে পবিত্রতার একটা স্পর্শ । পেয়ে থাকে জ্ঞানের দ্বারা ও সাধনার দ্বারা যথার্থ অস্তুরঙ্গ পবিত্রতার স্পর্শ ও পরিচয় পেলে ও তার অর্থ বুঝতে পারলে হয় ত বহিরঙ্গ পবিত্রতার মূল্য অনেক কমে যেতে পারে, কিন্তু যতক্ষণ তা না ঘটে ততক্ষণ বলপূর্বক সর্ব্বপ্রকার বাহিক পবিত্রত দৈনন্দিন জীবনে অস্বীকার করলে যে ইতিহাসের দ্বারা মামুষ প্রথম বাহিক পবিত্রত ও নানাপ্রকার কর্ম্মানুষ্ঠান বা ritual এর মধ্য দিয়ে অন্তরঙ্গ পবিত্রতাকে ও উজ্জল জ্ঞানের নৈষ্কর্ম্যকে পেরেছে আবিষ্কার করতে, সে