পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●>ペ অধ্যাপক সম্পদের দ্বারা মানুষ নিরস্তর ব্যক্ত করতে পারে আপনার গতিবেগ দূর থেকে দূরতর লোকে, উদ্ধ থেকে উৰ্দ্ধতর লোকে । এই চলনধর্ম্ম শুধু দেহের পরিস্পন্দ নয়, এ প্রধানতঃই হচ্ছে মনের পরিস্পন, চেতনার পরিস্পন, ভাবের পরিস্পন্দ । বুদ্ধি, অহুভব এবং ভাবান্থপ্রবেশের মধ্য দিয়ে চিত্ত যখন নিরস্তর আবিষ্কার করতে থাকে আপন গতিস্বভাব আপন চলনধর্ম্মের মধ্য দিয়ে, তখনই তাকে বলা যায় যথার্থ চরিত্রবান । সমগ্রপুরুষীয় অভিব্যক্তির মধ্যে যখন মানুষ নিরস্তর সাক্ষাৎ করতে থাকে আপন চলনধর্ম্ম তখনই সে অগ্রসর হতে থাকে আপন গন্তব্য পথের দিকে । চরিত্রবত্তা দেশহিতৈষণা নয়, সাধুত নয়, সত্যবাদিত নয়, ব্রহ্মচর্যা নয়, অস্তেয় নয়, অপরিগ্রহ নয়, কিন্তু এই সমস্তের সারভূত যে চলনধর্ম্ম, যে আত্মবিকাশধর্ম্ম, আত্মপ্রকাশধর্ম্ম, তাকেই বলা যায় চরিত্রবত্তা । এ চরিত্রবত্তা মানুষের সমগ্রপুরুষীয় বা personalityর স্বাভাবিক অভিব্যক্তি । মামুষের মধ্যে একদিকে আছে পশুধর্ম্ম, একদিকে আছে মনোধর্ম্ম, আর একদিকে আছে তার অধ্যাত্মধর্ম্ম । মনোধর্ম্মের দ্বারা আমরা পেয়েছি জীবনযাত্রার নূতন অস্ত্র, পেয়েছি জ্ঞানসম্পদ, আর অধ্যাত্মধর্ম্মের দ্বারা আমরা পশুস্বভাবকে পারি অতিক্রম করতে । মানুষের মধ্যে তাই নিরন্তর চলেছে দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে সামঞ্জস্ত না ঘটাতে পারলে চরিত্রধর্ম্ম হয় ব্যর্থ, চলন হয় পঙ্গু । আমাদের মধ্যে যে পশু-প্রবৃত্তি আছে তার খোরাক না যোগালে দেহ যায় ভেঙ্গে, দেহে উৎপন্ন হয় ব্যাধি, চলন হয় ব্যাহত । মানুষের মধ্যে আছে যে মনোধর্ম্ম তা দ্বারা আমরা পাই জ্ঞানলোকের সম্পদ, এ লোকের মধ্যে যে গতি সে গতি অনন্ত অক্ষয়। তাই আমাদের গতির স্ফুরণ যদি অসীমার দিকে নিয়ে যেতে হয় তবে সেটাকে সম্পন্ন করতে হয় বুদ্ধির বায়ুলোকে । পশুধর্শ্বের