পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক & ర్ఫిరి মধ্যে আমাদের যে প্রবৃত্তি থাকে সে প্রবৃত্তি সহজেই হয় নিবৃত্ত । পশুধর্ম্মের মধ্যে থাকে প্রতিস্পদ্ধিত আপন প্রবৃত্তি-সাফল্যের জন্য । । এই পশুধর্ম্ম যখন প্রতিবিম্বিত হয় মনের মধ্যে তখন তা দেখা দেয় মান, ঈর্ষ্যা, দস্তু, খ্যাতি, যশ, শক্তিসঞ্চয় প্রভৃতির প্রবৃত্তির মধ্যে । এই প্রবৃত্তিগুলির পরিপূরণ করার কোনও সীমা নেই । পশুধর্ম্ম মনোধর্ম্মে প্রতিবিম্বিত হয়ে পায় একটা অসীমতা । কিন্তু এই অসীমতা নিরস্তর থাকে দ্বন্দ্বসস্কুল হয়ে, তাই জীবনের কোনও স্তরে এদের উপকারিতা থাকলেও নিরুপাধি চরম গতির তুলনায় এরা বাধাসম্পন্ন । এ গতি সে গতি নয় যে গতি ঘটে দূরচারী বিহঙ্গের আকাশের মধ্যে। তবু এদের একটা সহচারিত বা সহযোগিতা নিরস্তর সহায়ক হয় মানুষের আদশের দিকে যে গতি, অধ্যাত্মলোকের দিকে যে গতি, সেই গতির পরিপূর্ণতার জন্য । পাখী ওড়ে আকাশে, মানুষও বিচরণ করে অধ্যাত্মলোকে, কিন্তু প্রতি মুহূর্তে পার্থী তার ডানা দিয়ে পিছনে ঠেলে’ দেয় বাতাসের স্রোতকে, তবেই হয় তার যথার্থ গতি উৰ্দ্ধলোকে এবং মানসলোকে । তেমনি আমাদের বুদ্ধির সম্পদকে এবং বুদ্ধির মধ্যে রয়েছে যে সমস্ত দ্বন্দ্বের বাধা সেগুলিকে নিরস্তর ঠেলে’ দিতে হবে আমাদের গতির বেগের দ্বারা, তবেই সম্পন্ন হ’তে পারবে আমাদের মহাকাশে বাধাহীন গতি । দেহের প্রবৃত্তিকে তার প্রয়োজনের অধিক প্রাধান্ত দিলে যেমন গতি হয় ক্ষুন্ন, তেমনি বুদ্ধির সম্পদকে যদি প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রাধান্য দিই তবে তা ক্ষুঃ করে আমাদের অধ্যাত্মলোকের গতি । বুদ্ধির সম্পদকে যখন ব্যবহার করতে পারি আদর্শলোকের আকর্ষণে, তখনই আমাদের গতিবেগ হয় বৰ্দ্ধিত এবং গতি হয় অব্যাহত । পার্থী যখন আকাশে বাতাসের ঘূর্ণর মধ্যে পড়ে’ নিজের তাল রাখতে চেষ্টা করে তখন তার সমস্ত সামর্থ্য ব্যয়িত হয়