পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক \లి (t বড় পার্থীরা ডানার প্রত্যেকটি ঝাপটে অনেকখানি বাতাস কাটতে পারে, তাই দু' চারটে ডানার ঝাপট দেওয়ার পর ডান স্তব্ধ করে” সেই গতিতে সামনের দিকে ঠেলে’ দিতে পারে তার শরীরটাকে । কিন্তু এই বড়ছোটর পার্থক্য ছেড়ে দিলেও প্রত্যেকটি পার্থীর ওডার ভঙ্গী একেবারে স্বতন্ত্র রকমের । সেই ভঙ্গী পার্থী আয়ত্ত করে নি অভ্যাসের দ্বারা, কিন্তু সেই ভঙ্গী তার স্বাভাবিক গতিপ্রক্রিয়ার অন্তলীন সম্পত্তি । মামুষেরও চলবার পদ্ধতির মধ্যে একটা কাঠামো আছে, সে কাঠামো তার জন্মগত, তার ধাতুগত, তার প্রকৃতিগত। সেটাকে সে তৈরী করে না, সেটাকে সে নিয়ে আসে তার জীবনের সঙ্গে ৷ নিজের চেষ্টায় যেটুকু পরিবর্তন সে ঘটায় সেটুকুরও বীজ থাকে সেই কাঠামোর মধ্যে । এই কাঠামোর বিভিন্নতাতেই প্রকাশ পায় দু’জনের চরিত্রের স্বভাবগত পার্থক্য । পরিণত বয়সে হয় ত গভীর আত্মবিশ্লেষণের দ্বারা নিজের স্বভাবকে কেউ পারে আবিষ্কার করতে, কিন্তু তার আবিষ্কার করার বহু পূর্ব্ব থেকে তার স্বভাব তুলেছে তাকে গড়ে । সাধনার দ্বারা এই চরিত্রকে দেওয়া যায় দার্ট্য কিন্তু এর অনেকখানি থাকে প্রত্যেকের মধ্যে আপন স্বভাবে সিদ্ধ হয়ে । নিজের কাঠামোর কতটুকু পরিবর্তন করা যায় তা বলা কঠিন, কিন্তু যতটুকুই হোক না কেন, তার সীমা আছে, যেমন সীমা আছে পায়রা ও দোয়েলের ওড়ার ভঙ্গীতে । হাজার চেষ্টা করলেও পায়রাকে ওড়ানো যাবে না দোয়েলের ভঙ্গীতে, দোয়েলকেও ওড়ানো যাবে না পায়রার মত । অবিনাশবাবুর চরিত্রগত বিশিষ্টতা তাকে যে একটা বিশিষ্ট পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তা কোনও দূরদর্শী বিচক্ষণ ব্যক্তির দৃষ্টি এড়াত না । পঠদ্দশা থেকেই অবিনাশবাবুর দেখা যেত নানা রকমের ঝোক । পাশ করে যখন বেরুলেন সরস্বতীর বরমাল্য গলায় দিয়ে,