পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○)v অধ্যাপক একটি প্রাণীর অবয়বসংস্থানের সহিত দেহের যান্ত্রিক ক্রিয়ার কি পরিবর্তন। এমনি করে স্বগত ও তুলনামূলকভাবে পর্য্যবেক্ষণ করে’ তিনি আয়ত্ত করেছিলেন প্রাণবিদ্যা, বনস্পতিলোকের সঙ্গে জীবলোকের কোথায় সাদৃশ্য, কোথায় বৈসাদৃশু, আদি এককোষী জীব থেকে কেমন করে’ উৎপন্ন হয়েছে বহুকোষী জীব, কেমন করে’ নানা প্রকারের জৈবপ্রক্রিয়া চলেছে শরীরের মধ্যে । এগুলির মধ্যে যখন তিনি ডুবে যেতেন তখন তার বাহবোধ রহিত হয়ে যেত। বাল্যকালেই তার মা মারা যান, কাজেই তিনি গড়ে উঠেছিলেন অনেকটা নিজের মধ্যে নিজে । তার পিতা থাকতেন ব্যস্ত অর্থ উপার্জনে । অনেকসময় তিনি বেরিয়ে পড়তেন দেশভ্রমণে, তীর্থযাত্রায় । হয় । ত চলে গেলেন উড়িষ্যায়। ময়ূরভঞ্জে গিয়ে প্রাচীন কীর্ত্তি লাগলেন পর্য্যবেক্ষণ করতে । সঙ্গে থাকত ক্যামেরা, নিখুঁতভাবে ছবি তুলতেন নানা মূর্ত্তির, মন্দিরের। সমস্ত মন্দিরের ভিতরটা একে নিতেন drawing করে’ কাগজের উপরে। এমনি করে ভারতের যে-সমস্ত স্থানে আমাদের শিল্পের কীর্ত্তি ছড়িয়ে আছে, ছড়িয়ে আছে নানা শিলালিপি, নানা প্রাচীন কীর্ত্তির ধ্বংসাবশেষ, প্রত্যেক স্থানে তিনি তথ্য সংগ্রহ করতেন খুটিনাটি করে । পঠিত বিষয়ের সহিত মেলাতেন আবিষ্কৃত তথ্য এবং সকল সময়েই নিজের মত ব্যক্ত করে লিপিবদ্ধ করে’ রাখতেন গ্রন্থাকারে । পাখী যেমন ওড়ে তার দুটি ডানার ছন্দে, মানুষের মনও তেমনি ওড়ে দুটি ডানার ছন্দে । একটি ডানায় করে আহরণ আর একটি ডানায় করে প্রকাশ। যেখানে আহরণ হয় পুঞ্জীভূত তা পথ পায় না নিরর্গলভাবে প্রকাশ পেতে । সেখানে সে আহরণ হয়ে যায় লোষ্ট্রবৎ কঠিন, তা প্রবেশ করতে পারে না জীবনধর্ম্মের মধ্যে ।