পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক రివరి এমন একটা দুরাশা তিনি কথনও পোষণ করেন নি । হ’তে পারেন তিনি গৃহকত্রী এবং বন্দোবস্ত করতে পারেন সংসারের । সেটা মন্দ কি ! চাকর গুলো হয়ে উঠেছে একান্ত হতচ্ছাড়া, তাদের দিয়ে অণর কাজকর্ম্ম চলছে না । একটি নিতান্ত অবলাজাতীয়কে আশ্রয় দিলে তার যে কোনও উপদ্রব ঘটতে পাবে একথা তার মনে একবারও খেয়াল হয় নি । বিয়ে হওয়ার এক বৎসর পরে তার পিতা পরলোক গমন করলেন, রেখে গেলেন ছেলেকে অতুল ধনের অধিকাবী করে’ । ব্যাঙ্কের নগদ টাকায়, শেয়ারে, বাড়ীতে, জমিজমায় ঝকৃমক্‌-করা লক্ষ্মীর আসনখানি বেখে গেলেন ছেলের কাছে, অথচ ছেলেকে করে গেলেন পূজারী সরস্বতীর । অবিনাশবাবুর স্ত্রী প্রতিভা লবেটোয়-পড়া একেবাবে হালফ্যাসানের মেয়ে, সে বাড়ীতে এসেই মন দিলে বাড়ী সংস্কারে । মোটা মোট চেকে আসতে লাগল নূতন নূতন আসবাবপত্র, সমস্ত গৃহদ্বার হল মুসজ্জিত, বড় বড় বুদ্ধমূর্ত্তির স্থান হল সোপানপংক্তির নিম্নে, নানারকম Classic styleএর নগ্ন মূর্ত্তি বাগানের নানাস্থানে হল স্থাপিত। তপোবন হয়ে উঠল উপবন । বাড়ীতে নিত্য অভ্যাগতদের নিমন্ত্রণ, হাসি, নাচ গান, চলতে লাগল অফুরন্ত বিলাসের স্রোত । অবিনাশবাবুর এতে তেমন আপত্তি ছিল না। টাকা আছে যথেষ্ট, এ রকম সাধারণ ক্ষয়ে তা সঙ্কুচিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিপদ বাধল আর এক দিক দিয়ে । বিলাস ও উৎসব জমাবার জন্য এক প্রতিভা যথেষ্ট নয়, তার পাশে থাকা চাই তার স্বামী । তার স্বামীর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি চারিদিকে হয়ে পড়েছে বিস্তৃত । এ হেন পণ্ডিত স্বামী একটি মূল্যবান সাজসজ্জার অন্তর্গত। কিন্তু অবিনাশবাবু যে অবস্থায় থাকেন সে অবস্থায় তাকে লোকের সামনে বের করা