পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 'చి' (t যে সহজ নয় তা নিরীহ অবিনাশবাবুর বুদ্ধিতে কুলোলো না । তিনি এতাবৎকাল সমস্ত চরিত্রই অধ্যয়ন করেছিলেন, কেবল স্ত্রীচরিত্রের রহস্যই ছিল তার অবিজ্ঞাত । আজ এই রহস্তের মধ্যে পড়ে অবিনাশবাবু উঠলেন ইপিয়ে অবিনাশবাবুর উপরে এই জুলুম শুধু যে বাইরের দিক থেকেই আরম্ভ হ’ল তা নয়, এটা আরও প্রবল বেগে চলল উভয়ের দাম্পত্য সম্বন্ধ নিয়ে । প্রতিভা একদিন রাগ করে’ বল্লে—“তুমি একটা বইয়ের কীট মাত্র । তোমার মধ্যে আছে কি ? এর চেয়ে একটা মাতাল স্বামী হ’লেও বুঝতুম যে তবু সে কিছু একটা করছে।” সে তার স্বামীকে বলত—“তুমি যদি আমাকে ভালই না বাসবে তবে আমায় বিয়ে করলে কেন, আমার জীবনট। কেন করলে নষ্ট ?’ অবিনাশবাবু মনে করলেন–কথা ত মিথ্যে বলে নি ; বিয়ে করলুম কেন ? বেচার ভালবাসা কাকে বলে তা এ যাবৎ জানে নি । প্রতিভার ব্যাখ্যা অনুসারে ভালবাসা বলতে যা যা বোঝায় সে সমস্ত ভেবে আতঙ্কে তার মন শিউরে উঠল । বিয়ে করবার সময়ে এ সব কথা তার মনেই হয় নি । তিনি ভেবেছিলেন--আমি থাকৃব আমার কাজ নিয়ে, স্ত্রী থাকবেন তার কাজ নিয়ে, দ্বন্দ্ব বিরোধের সম্ভাবনা কোথায় ? লোকে বলে এক হাতে তালি বাজে না, কিন্তু তার মানে এ নয় যে দুটো হাতই একসঙ্গে নেচে নেচে তালি দেয় । প্রতিভা অনেকসময় আগুন হয়ে উঠত এবং হাতের কাছে যা পেত তাই দিয়ে অবিনাশবাবুকে প্রহার করতে ছাড়ত না । তার ঈর্ষ্যার প্রধান কারণই ছিল লাইব্রেরীর বইগুলি । সে বলত যে ওগুলো যদি অচেতন না হয়ে সচেতন একটা মানুষ হ’ত তবে তা সহ করা যেত, এমন অনেক বড় মামুষের ঘরে দেখা যায় । কিন্তু এই নিজীব জিনিষগুলোর উপর অবিনাশবাবুর এই যে অতিরিক্ত