পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ○s> অধ্যক্ষের কর্ত্তব্য নয় ছেলেদের সঙ্গে বল পরীক্ষা করা । অধ্যক্ষ ও ছাত্রের সম্পর্ক এই যে অধ্যক্ষের শাসন নেবে তারা মালার ন্যায় বরণ করে, তখনই হ’তে পারে শাসনের ফল । যেখানে শাসন করলে তার ওঠে প্রতিবাদ সেখানে শাসন নিফল । অতএব তিনি আর ঐ কলেজের অধ্যক্ষ থাকতে প্রস্তুত নন । প্রত্যেকটি ছেলে অনুতপ্ত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে করলে ক্ষমা ভিক্ষ । তিনি তাদের ক্ষমা করলেন এবং দিলেন তাদের প্রাচীন বন্ধুত্বের স্থান, কিন্তু অধ্যক্ষপদ পরিত্যাগের পত্র তিনি আর প্রত্যাহার করলেন না। সেই কলেজেই তিনি রইলেন অধ্যাপক হয়ে । নূতন অধ্যক্ষ তার উপর ছিলেন ঈর্ষ্যাম্বিত ; তিনি চাইতেন এমন ব্যবস্থা করতে যাতে অবিনাশবাবু সময় না পান আপন গবেষণার জন্য । দু’জনে বাধূল ভীষণ দ্বন্দ্ব । এমন সময় কোনও একটা রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে ছেলেদের ঘটল অধ্যক্ষের সঙ্গে দারুণ বিরোধ । ফলে একদিন অবস্থাটা এতদূর গড়াল যে অধক্ষের হ’ল প্রাণসংশয় । অবিনাশ বাবু এক মুহূর্ত্তও ভাবলেন না অধ্যক্ষের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত বিরোধের কথা । ছেলেদের উপর র্তার যে প্রভাব ছিল তা ব্যবহার করে তিনি অধ্যক্ষকে অসম্মান ও প্রাণহানি থেকে বাচালেন । ফলে অধ্যক্ষ রইলেন চিরদিন তার প্রতি বিরূপ হয়ে । তিনি কাজ ছেড়ে দিয়ে রওনা হলেন ইউরোপে । ইউরোপে গিয়ে অবিনাশ বাবু পড়লেন একটা নূতন হাওয়ার মধ্যে, সমুদ্রের হাওয়ার মত সে হাওয়া নির্ম্মল ও ওজস্কর । তিনি প্রধানভাৰে আরম্ভ করলেন রাসায়নিক গবেষণা এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর রাখতে লাগলেন আধুনিকতম জড়বিজ্ঞানের । বছরের পর বছর তার কাটতে লাগল সেখানে, একাস্তচিত্তে তিনি চালাতে লাগলেন তার গবেষণা । ইউরোপে গিয়ে তিনি দেখলেন যে ইউরোপের সমস্ত বিদ্যা এদেশের