পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిరి: অধ্যাপক করতে লাগল । কেউ করলে নিন্দা, কেউ করলে প্রশংসা, কিন্তু অবিনাশবাবু সে সম্বন্ধে রইলেন একেবারে নির্বাক । তিনি একমনে কাজ করে' চললেন তার মহান উদ্দেশ্যের সাধনা নিয়ে। যন্ত্রগৃহের সঙ্গে স্থাপিত হ’ল একটা কারখানা গৃহ । সেখানে নিযুক্ত হ’ল দক্ষ যান্ত্রিকেরা । তারা দেবে প্রয়োজনমত নূতন নূতন যন্ত্র তৈয়ারী করে । যন্ত্রগৃহে স্থাপিত হ’ল নানা বিভাগ, প্রত্যেক বিভাগে হ’ল দক্ষ বৈজ্ঞানিক নিযুক্ত। তারা সব নিযুক্ত হ’ল খণ্ড খণ্ড বিষয়ের পরীক্ষার জন্য, আর সেই সমস্ত পরীক্ষালব্ধ সত্য একত্র করে তিনি চালাতে লাগলেন আপনার কাজ । মন্ত্রগুহের চারিদিকে স্থাপিত হ’ল এই সমস্ত বৈজ্ঞানিকের আবাস-কুটির । তার নিজের শয়ন ও বিশ্রাম প্রভৃতির কক্ষ নির্দিষ্ট হ’ল সেই যন্ত্রগুহেরই মধ্যে । এমনি করে’ মহাসমারোহে রইলেন তিনি র্তার বৈজ্ঞানিকের কাজ নিয়ে । বাইরের সংসার হ’ল তার কাছে একান্ত নিরুদ্ধ । বয়স চলল বেড়ে, যৌবন হ’ল অতিক্রান্ত, প্রৌঢ়দশ অতিক্রম করে তিনি উপনীত হলেন প্রায় পঞ্চষষ্টির উপাস্তে দেহে ধরতে আরম্ভ করল ভাঙ্গন, কিন্তু মনের বীর্য্য রইল র্তার অক্ষুণ্ণ । এখন তিনি অনুভব করতে লাগলেন তার পরে এই বিরাট ল্যাবরেটরীর কি দশা হবে, কে নেবে এর নেতৃত্ব, কে নেবে এর প্রধান গবেষণার কাজ । কানাই ছিল রাসায়নিক । একদিন সে খেয়ালের বশবর্ত্তী হয়ে এল এই ল্যাবরেটরী দেখুতে। স্তম্ভিত ও বিমূঢ় হয়ে গেল সে এর সব আয়োজন দেখে । সমস্ত দেখে শুনে সে দেখা করতে গেল অবিনাশ বাবুর সঙ্গে। ভূমিষ্ঠ হয়ে সে র্তার পায়ের ধূলো নিল । অবিনাশবাৰু হেলে বল্পেন—“তোমাদের এখনও দেখছি পুরোণো সংস্কার যায় নি, অথচ তোমরা নবীন কালের লোক ।”