পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক GII কানাই যতই বিনীত আর নম্র হোক না কেন, সে ছিল একান্ত তার্কিক প্রকৃতির ; একজন যুযুৎস্থ,যেন নিরস্তুর কুস্তির প্যাচ লড়বার জন্যে ওৎ পেতে বসে থাকত তার মনের মধ্যে, সুবিধা পেলেই সে আসত রঙ্গমঞ্চে নেমে । কানাই বল্লে—“এটা হ’ল ভক্তিজ্ঞাপনের ভাষা ।” অবিনাশবাবু বল্পেন—“ভক্তির অর্থ হচ্ছে পূজ্য ব্যক্তিতে অনুরাগ। তা আমি তোমার পূজাই বা হলুম কেমন করে আর হঠাৎ তোমার আমার প্রতি অনুরাগই বা জন্মাল কেমন করে’ এবং তা জ্ঞাপন করবারই বা তোমার কি প্রয়োজন হ’ল ।” কানাই বল্লে—“আপনি জ্ঞানের সাধক মনীষী, তাই আমার পূজ্য।” অবিনাশবাবু বল্লেন—“পূজা তুমি কর কাকে ? মানুষকে না বিষ্ঠাকে ?” কানাই বল্লে—“বিদ্যাকে ৷” অধ্যাপক বল্পেন—“তবে মানুষকে কেন পূজা কর ? আমাকে কেন প্রণাম করলে ?” কানাই বল্লে—“আপনি বিদ্যার সাধক বলে ।” অধ্যাপক বল্পেন—“বিদ্যার সাধক বলতে তুমি কি বোঝ ?” কানাই বল্পে—“বিদ্যার যিনি করেন সাধন ।” অধ্যাপক আবার বল্পেন—“বিষ্ঠা ত রয়েছে সিদ্ধ হয়েই, তিনি আবিষ্কৃত হন নানা সাধনের দ্বারা মামুষের চিত্তে ।” - কানাই আবার বল্লে—“মানুষই ত করে তাকে আবিষ্কার ।" । অধ্যাপক বল্পেন—“কোনও কাজের আমি কর্ত্ত বললে এই জিনিষই বোঝায় যে আমারই ক্রিয়ার দ্বারা যা ছিল না সেটা উঠল ঘটে । আমার ক্রিয়ার দ্বারা আমি মাটিতে গড়ে তুলি পুতুল । পুতুল ত