পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক లిరి( মধ্যাপক আবার বরেন—“যখন সাধ্যেরই কর পূজা, তখন সাধন হিসেবে জীবিত কি জড়, এদিক দিয়ে সাধনের মূল্য কি ?” কানাই বল্লে—“মূল্য কি কিছুই নেই ?” অধ্যাপক বল্পেন—“মূল্য আছে কি নেই সে সম্বন্ধে আমি ত কিছু বলি নি । আমি জিজ্ঞাসা করছি তোমাকে—তুমি কি মূল্য দেখতে পাচ্ছ ?” কানাই বল্লে—“আমি ত কিছু বুঝতে পারছি না।” অধ্যাপক বল্লেন—"যাক, তা হ’লে বোঝা গেল যে তুমি না বুঝেই আমাকে প্রণাম করেছ, অতএব সে প্রণাম আমার গ্রহণ না করাই উচিত । কিন্তু কথাটা হচ্ছে এই যে বৈজ্ঞানিক জীবিত । সেই হিসাবে তিনি করেন নানা কল্পনা, মনের মধ্যে ওঠে নানা সস্তাবনা, নানাপ্রকার যুক্তিপ্রবাহের চলে স্বচ্ছন্দ চালনা । বাহ জড়লোকে যেমন আছে জডধর্ম্মী যন্ত্র, অন্তলোকে তেমনি আছে নানারূপ চিত্তের স্পন্দন । সেগুলি নির্ভর কবে চিত্তের প্রাচীন ইতিহাসের উপর । তেমনি যন্ত্রলোকেও যন্ত্রের রয়েছে নানা ইতিহাস । অন্য লোকেরা যে সমস্ত কাজ করে গেছেন সেই ইতিহাস একদিকে জড়িত হয়ে রয়েছে যন্ত্রের সঙ্গে আর একদিকে জড়িত হয়ে রয়েছে বৈজ্ঞানিকের চিত্তের সঙ্গে । এই ইতিহাসটি হচ্ছে অতীতের ইতিহাস । এইটিকে অবলম্বন করে’ বর্ত্তমানে এসে পৌছেছে যে নিত্য নবোদ্ভাবিত যন্ত্র, সেই যন্ত্র ও নবোন্মেষশালী মামুষের চিত্ত, এদের পরস্পর সন্নিপাতে উদ্ভাসিত হয় একটা নূতন সত্য বা সম্বন্ধ । তার ফলে গড়ে ওঠে একট। নূতন ইতিহাস ।" কানাই বল্লে—“আপনি এগুলিকে কি ইতিহাস বলবেন ?” অধ্যাপক বল্পেন—“ইতিহাস ছাড়া তুমি কি বলতে চাও ?”