পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ළුLV অধ্যাপক কানাই বল্লে—“ইতিহাস ত রাষ্ট্রনৈতিক ব্যাপারের হয় ।” অধ্যাপক হেসে বল্পেন—“কেন, ধর্ম্মের ইতিহাস হয় না ? সাহিত্যের, দর্শনের ইতিহাস হয় না ?” কানাই বল্পে—“তা ত হয় । তবে ‘ইতিহাস' কথার মানে কি ?” অধ্যাপক বল্পেন—“ইতিহাসই হচ্ছে জগতের তত্ত্ব। আর সমস্তই হচ্ছে এই ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করা ঐতিহাসিক উপাদান মাত্র । জগতের প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে রয়েছে তার দীর্ঘ ইতিহাস, অর্থাৎ কেমন করে দূর অতীত থেকে আরম্ভ করে নানা ঘটনার স্রোতে সেই ঘটনাটিকে করেছে অভিব্যক্ত । ঘটনায় ঘটনায় চলে দ্বন্দ্ব ও মিলন, তার ফলে প্রত্যেকটি ঘটনাকে লক্ষ্য করে অভিব্যক্ত হয় তার একটি ঐতিহাসিক প্রকাশ । এমনি করে’ গড়ে উঠছে নব নব পয্যায়ের ইতিহাস এবং তার পরিচয় আমরা পাই জড়ে, প্রাণধর্ম্মে ও মানুষের চিত্তে । এই ত্রিবিধ ঘটনার সভঘাতে আবার গড়ে ওঠে একটা নূতনজাতীয় ইতিহাস, তা প্রকাশ পায় আবার তেমনি জড়ে, জীবে আর মানুষের চিত্তে । সমগ্র জগৎ হচ্ছে এই ক্ষণপরিবর্তী ইতিহাস-ধারার ক্ষণপ্রকাশ বা ক্ষণবিকাশ ।” অধ্যাপক এই সঙ্গে আবার প্রশ্ন করলেন—“আচ্ছা, এ কথার আলোচনা থাক্ । তুমি বলেছ যে বিদ্যার প্রতি তোমার যে অমুরাগ আছে সে অনুরাগ তুমি প্রকাশ করেছ আমাকে প্রণাম করে । তুমি কি শাস্ত্র পড়েছ ?” এইবারে কানাই অত্যন্ত বিনীতভাবে বল্লে—“আজ্ঞে, আমি একটু রসায়ন পড়েছি এবং সেই বিষয়ে এমএসসি পাশ করেছি।” অধ্যাপক প্রশ্ন করলেন—“তোমার কি রসায়নের প্রতি অনুরাগ আছে ?”