পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 'Gළුණු কানাই বল্লে—“তা একটু একটু আছে বৈ কি ” অধ্যাপক বল্লেন—“অর্থাৎ, তোমার অনেক বিষয়ে অনুরাগ আছে, তার মধ্যে রসায়ন একটি ?” কানাই যেন হাফ, ছেড়ে বাচল । বল্লে—“হ্যা ।” অধ্যাপক জিজ্ঞাসা করলেন—“তোমার প্রত্যেক অনুরাগই কি এই রকম প্রণাম করে প্রকাশ কর, না অন্য উপায়েও প্রকাশ কর ?” কানাই পালাতে পারলে বঁাচে । সে যেন লাগল ঘামতে। অধ্যাপক আবার হেসে বল্লেন—“বল না, তোমার কি বলবার আছে । আগে খোজ নাও তোমার কি কি বিষয়ে অনুরাগ আছে এবং তার মধ্যে কোনটি প্রধান । অনুরাগ আমাদের নানা বিষয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পার না পার। নির্ভর করে বাস্থ কারণপরম্পরার উপর । আত্মপ্রকাশ, আত্মাভিব্যক্তি আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম্ম । নিজেকে অন্বেষণ করে’, তোমার চারিদিকের আবেষ্টনীকে অন্বেষণ করে বেশ করে পরীক্ষা করে দেখ তোমার অমুরাগের কোন দিকটি বাহ কারণকলাপের সাহায্যে তুমি পার স্বচ্ছন্দে প্রকাশ করতে, কোনখানে কতখানি অপেক্ষা করতে হয় বাহ কারণকলাপের, কোনখানে কতখানি অনুকূলতা পাওয়া যাবে বাহ উপকরণের এবং কোনখানে বাহ উপকরণের প্রয়োজন হবে সব চেয়ে কম। যেখানে বাহ উপকরণের সহায়তা লাগবে সব চেয়ে বেশী, সেখানে নির্ভর করতে হবে বাহু উপকরণের উপর । সে উপকরণের উপর আমাদের হাত নেই, কাজেই সেখানে আত্মপ্রকাশ হবে পদে পদে ব্যাহত, জীবনে হবে বহু ব্যর্থতার স্বষ্টি । এইজন্ত তোমাকে প্রথম করতে হবে আত্মাবিষ্কার, তোমাকে দেখতে হবে কোন অম্বুরাগটি বেরিয়ে আসছে তোমার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু থেকে, যে २९ r.