পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক $83, সমস্ত মহাপুরুষদের বাণী ফন্তুধারার ন্যায় তাদের অন্তরে প্রবাহিত না হ’ত । আমাদের চোখের সামনে যে পাপ, যে ধ্বংস, যে অনাচার আমরা দেখতে পাই, তারই যদি হ’ত প্রাধান্ত, তাই যদি হয়ে উঠত সর্ব্বগ্রাসী, তবে আজও ভারতবর্ষ যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় কখনই থাকতে পারত না । জেলের মধ্যে কানাই খুব পড়বার অবসর পেত । আনিযেছিল সে নানা দেশের অনেক ইতিহাসের গ্রন্থ । এখানে সে বন্ধুভাবে পেলে জেলের সুপারিনটেণ্ডেণ্টকে । ভদ্রলোক বিলেতফেরৎ ডাক্তার, অমায়িক, মিষ্টভাষী এবং বহু বিষয়ে তার জানবার ইচ্ছা ছিল এবং জানতেনও তিনি অনেক বিষয় । তার সঙ্গে অনেকসময় কানাইয়ের হ’ত নিয়মিত আলাপ | ভদ্রলোক একদিন জিজ্ঞাসা করলেন--"আপনার এই কারাগৃহে আসবার কারণ শুনেছি এই যে মেয়েদের শোভাযাত্রায় একটি মেয়ে অগ্রণী হয়ে আসে ; তার সঙ্গে বাধে পুলিশের সঙ্ঘর্ষ ; আপনি মেয়েটির পক্ষ হয়ে পুলিশকে করেন বেদম প্রহার ; আটটিকে করেন ধরাশায়ী । তা সেই মেয়েটি কি আপনার কোন আত্মীয়া ছিলেন ?” কানাই বল্লে—“কিছুমাত্র না।” "তবে কি আপনার সঙ্গে তার পরিচয়ও ছিল না ?” কানাই বল্লে—“পরিচয় হয়েছিল সামান্যমাত্র একটা চায়ের পার্টতে, কিন্তু সেই পরিচয়ের জন্যই যে আমি লাফিয়ে পড়েছিলুম তা নয় । যে কোনও স্ত্রীলোকের উপর, যে কোনও অসহায়ের উপর, যে কোনও দুর্ব্বলের উপর বলবানের অত্যাচার দেখলেই আমার সমস্ত শরীরের রক্ত আগুন হয়ে ওঠে, আমি সমর্থ কি অসমর্থ তার কোনও চিন্তা করবার অবসরও আমার থাকে না। সম্মুখে সাপ দেখলে যেমন মানুষ প্রাণভয়ে