পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి(ఫి অধ্যাপক ডাক্তার বল্লেন- “কেন, আপনি কি মানেন না যে ভারতবর্ষীয় ও পাশ্চাত্যদের মধ্যে একটা আদশের দ্বন্দ্ব আছে, সেইটে ইংরেজের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্বের প্রতীক, তাই প্রকাশ পাচ্ছে নানা পরিচ্ছদে ও পটভূমিতে ?” কানাই বল্লে—“না, তা অস্বীকার করি না ।” ডাক্তার বল্লেন—“তবে ?” কানাই বল্লে—“বিষয়টা দাড়াচ্ছে এই যে ইউরোপীয়েরা যা আবিষ্কার করছে সে বিদ্যাটা ত মিথ্যা নয়, অথচ সে বিদ্যাটা আমরা আয়ত্ত করি নি। যখনই এক জাতি অপর জাতির উপর জয়ী হয়েছে সে জয় ঘটেছে বিদ্যার বলে । বিদ্যা দুই রকম—একটা জড়বিদ্যা, যার ফলে আসে বল ; আর একটা হচ্ছে আধ্যাত্মিক বিদ্যা, যার ফল পাওয়া যায় ধর্ম্ম, নীতি ও চরিত্রে । নীতি ও চরিত্র যখন প্রধান হয়ে ওঠে তখন তা পরিণত হয় ধর্ম্মে । যখন কোন জাতি অপর জাতিকে জয় করেছে বাহ বলের দ্বারা, জড়বলের দ্বারা, তখন তা ঘটেছে জড়বিদ্যার শ্রেষ্ঠতা প্রযুক্ত এবং এই জড় বিদ্যার পিছনে নিযুক্ত থাকত চরিত্রের দৃঢ়তা । আর যখনই কোনও জাতি বাহত বিজিত হয়েও অপরের হৃদয় জয় করেছে বা আপন সভ্যতায় অন্যকে দীক্ষিত করেছে, তখন সেটা ঘটেছে অধ্যাত্মবলের দ্বারা, ধর্ম্ম, নীতি ও জ্ঞানের বলের দ্বারা। পাশ্চাত্য জাতিরা , যে জড়বিদ্যা আয়ত্ত করেছে আমাদের সে জড়বিদ্যা নেই, তাই বাহ্যিক বলে হয়ে পড়েছি আমরা পদানত । ধর্ম্মে হারিয়েছি আমরা বিশ্বাস, নীতিতে নেই আমাদের দৃঢ়তা, জ্ঞানে হয়ে পড়েছি আমরা সঙ্কুচিত, আমাদের ধর্মের স্থান নিয়েছে অর্থহীন মিথ্যা আচারে । তাই কি জড়বিদ্যা, কি অধ্যাত্ম বিদ্যা, উত্তর দিক থেকেই আমরা হয়ে পড়েছি নিঃস্ব । কাজেই,