পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক سیاری را কিছুতেই এ কথা আমরা আবিষ্কার করতে পারি না যে তার পল্লবের মধ্য থেকে পল্লব ছাড়া আর কিছু উদ্ভিন্ন হয়ে উঠতে পারে। হঠাৎ দেখা যায় যে পল্লবের মধ্য থেকে কি একটা কোমল পদার্থ বেরিয়ে এল। ক্রমশঃ যখন সেই কোমল পদার্থটি স্ফুট হয়ে উঠতে থাকে তখন আমরা তাকে চিনি যে তা আম্রমুকুল । সে আম্রমুকুল ক্রমশঃ হয়ে ওঠে বিকশিত । তখনও আমরা জানি না তার ফলের কথা । তার পরে আসে ছোট একটি ফল । সেটি বাড়তে বাড়তে হয় বড়, রস তার তীব্র অস্ত্র । হঠাৎ সে একদিন পাক ধরে’ গাছ থেকে যায় পড়ে', আস্বাদ করে দেখি যে সে সুমিষ্ট । গাছের যে ইতিহাস প্রকাশ পাচ্ছিল পল্লবস্তুষ্টিতে এবং শাখাবৃদ্ধিতে, সে ইতিহাস ব্যক্ত করে’ আনে একটা নূতন ইতিহাসের ধারা—মুকুল, কুসুম ও ফলের পর্য্যায়ে । তেমনি দেখা যায় মানুষের দেহের যৌবনে, তেমনি ঘটে মানুষের চিত্তে । যে চিত্ত ছিল মুখাসক্ত, দৈহিক কামনায় যা হয়ে উঠেছিল মাতাল, হঠাৎ হয় ত ব্যক্তিবিশেষের চিত্তের মধ্য থেকে উদ্ভিন্ন হয়ে ওঠে তার অবচেতনায় কোনও একটা নুতন উচ্চাভিলাষ, ব্যক্ত হয়ে প্রকাশ পায় কোনও একটা আদর্শের অনুপ্রেরণা, আর সেইটাই হয় তার জীবনের প্রধানতম বস্তু এবং তা পূর্ণ করে তোলে তার জীবনকে । কেবল যে ছোটখাট জীবনের মধ্যে এ দেখা যায় তা নয়, অনেক বড় বড় জীবনেও এর পরিচয় পাওয়া যায়। নানাবিধ স্বখে ঘিরে রেখেছিল শাক্যমুনিকে । হঠাৎ একদিন দেখা দিল তার মধ্যে একটা প্রেরণা ষে তিনি পৃথিবীর প্রাণিবর্গকে দুঃখ থেকে মুক্তি দেবেন, সর্ব্ব সত্বের কল্যাণ করবেন। একটির পর আর একটি বিবাহ করে দর্পিত অধ্যাপক নিমাই পণ্ডিত চালাচ্ছিলেন টোলের পাঠ, হঠাৎ একদিন এল র্তার মধ্যে হরিভক্তির বন্যা । -