পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓe অধ্যাপক এসেছে তার দিকে, স্নেহের সহিত তার হাত ধরে নিয়ে চলেছে । গভীর অরণ্যের অন্ধকার থেকে স্বর্য্যালোকে উদ্ভাসিত মহা রাজপথের দিকে । কানাইয়ের কথা সে কাউকে কিছু বলত না । কানাইয়ের কথা ভাবতে ভাৰতে যখন সে সচেতন হয়ে উঠুত তখন তার কপোল দু’টি যে অরুণাভ হয়ে উঠত তা তার সামনে কেউ থাকলে নিশ্চয়ই দেখতে পেত। কানাই তাকে অত বড় হাঙ্গামা থেকে বঁচিয়েছে এ অবস্থায় কানাইয়ের কথা কাউকে বলতে বা কানাইয়ের প্রশংসা করতে তার কোনও লজ্জার কারণ ছিল না, তথাপি কানাইয়ের কথা কিছু বলতে গেলেই তার জিহবা যেন আড়ষ্ট হয়ে যেত, হঠাৎ কে এসে যেন ভিতর থেকে তার কণ্ঠরোধ করত। প্রভাকে সে অত্যন্ত চাপ কৌশলে কানাইয়ের খবর জানবার জন্য পাঠিয়েছিল। প্রভা তা কিছু বুঝতে পারে নি। মঞ্জরী হ'লে তা তার চোখ এড়াত না । কানাইয়ের কাছ থেকে এসে প্রভা তার সঙ্গে যে সব কথা হয়েছিল ত} নানারকম অলস্কৃত করে প্রকাশ করলে ; সুজাতা সে সব কথার উপর কোনও কথা বলে নি, সে কেবল অনুভব করেছিল যেন বিনী কারণে ঈশানকোণের কোনও একখানা মেঘ ব্যাপ্ত করে ফেলুল শরৎকালের স্বচ্ছ আকাশকে । কেন যে তার মন অকস্মাৎ এ রকম ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল তা সে নিজেই বুঝতে পারলে না । সে আপন মনের মধ্যে চিন্তা করতে লাগল যে সে জেল থেকে বেরিয়ে কি করবে, কে দেবে তাকে পথ দেখিয়ে । একবার ভাবলে সে মুকুমারের কথা, কিন্তু তার মন কোনও সাড়া দিলে না । তার মনে হ’ল স্বকুমার খুব ডাল, খুব চরিত্নবান, কিন্তু তার মনের ধাতুর সঙ্গে তার কোনও মিল নেই, সে তার সঙ্গে একত্র থাকলেও থাককে বিচ্ছিন্ন হয়ে, যেমন থাকে তেল জলের উপরে ; কিছুতেই সে পারবে