পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Str@ আছে একটা অধ্যাত্ম আদর্শ । সেই আদর্শ অনুসারে যদি আমরা আমাদের বুদ্ধিকে চালিত করি এবং ইচ্ছাকে যদি চালিত করি সেই বুদ্ধির অনুকূলে, তবেই ঘটে আমাদের অন্তলোকে ত্রিবিধ বৃত্তির সামঞ্জস্য ।” “এই 'অধ্যাত্ম’ বলতে আপনি কি বোঝেন ?” অধ্যাপক বল্লেন—“অধ্যায়ের প্রকাশ নানা রকম হতে পারে তবে অত্যন্ত স্থলভাবে বলতে গেলে আমাকে বলতেই হয় যে এটা একটা জীবস্বভাববিরোধী ধর্ম্ম ।” - স্বজাত আবার জিজ্ঞাসা করলে—“তার স্বরূপ কি, আর অর্থই বা কি ?” অধ্যাপক বল্লেন--"কেবলমাত্র যা জীব, কেবলমাত্র যা প্রাণী, সে চায় অন্য প্রাণিনিরপেক্ষভাবে সে-ই কেবল বঁাচবে, তারই কেবল মুখ হবে, অন্তের যাই হোক না কেন । এই স্বভাবের প্রেরণায় প্রাকৃতিক স্বন্দ্বে জীব-পরম্পরার মধ্য দিয়ে ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে পরিণত হয়েছে জীবের সর্ব্বোত্তম বিকাশ মানুষে।” । স্বজাত আবার প্রশ্ন করলে—“তবে মামুষের মধ্যে এই অধ্যাত্মধর্ম্মের সার্থকতা কি ?” অধ্যাপক বল্পেন—“মানুষ তার বুদ্ধির বলে সমস্ত প্রাণিলোকের উপর আপনাকে প্রভূ করেছে । মানুষের বিপদ এখন হচ্ছে মানুষের কাছে । মানুষে মানুষে লড়াই করে’ সর্ব্বক্ষয় হ’লে আর কোনও উন্নততর জীবের উদ্ভবের সম্ভাবনা নেই । তাই মানুষের মধ্যে প্রয়োজন হচ্ছে একটা নূতন রকম জীবনের। একটি জীবনের মধ্যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন অবিরোধে কাজ করবে তেমনি মানুষের পক্ষে প্রয়োজন হয়েছে যে তাদের প্রত্যেকের কার্য্য অন্ত সকলের অবিরোধে 象登