পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbrや অধ্যাপক সম্পন্ন হবে । আমিই শুধু বেঁচে থাকব এই যে আত্মাশীর্ব্বাদ, যোগশাস্ত্রে একে বলেছে ‘অভিনিবেশ’ ৷ এই অভিনিবেশই হ’ল মনুষ্যজীবনের সব চেয়ে বড় অভিনিবেশ, সব চেয়ে বড় অবিদ্যা ।” সুজাতা আবার জিজ্ঞাসা করলে—“আপনি যে বল্লেন যে আমাদের অধ্যাত্মবোধ প্রকাশ পায় নিজের জীবনকে অপরের চেয়ে বড় না দেখাতে, এটা ত হ’ল একটা ‘না’ এর দিক । এর ‘হঁ্যা’ এর দিকটা কি ?” অধ্যাপক বল্লেন—“এর ‘হ্যা’ এর দিক নানাভাবে প্রতিবিম্বিত হয়ে প্রকাশ পেতে পারে । প্রকাশ হতে পারে সকলের প্রতি সমত্ব বুদ্ধিতে, সকলের প্রতি মঙ্গলের প্রেরণায়, তত্ত্বদর্শনের প্রেরণায়, প্রেমে নানাবিধ জগদমুষ্ঠানকর প্রতিষ্ঠানে, সত্যে, সারলো। এ সমস্ত গহন বিচারে আর এখন প্রয়োজন নেই ।” স্থ জাত। আবার জিজ্ঞাসা করলে—“আমার সমস্যাটা আপনার কি রকম মনে হয় ?” অধ্যাপক বল্লেন--"তোমাকে ত এখনও ভাল করে দেখি নি মা । এমন সম্ভব হ’তে পারে যে তোমার বুদ্ধির প্রেরণা একটা অধ্যাত্মপ্রেরণাকে আশ্রয় করতে চায় কিন্তু কোন পরিচয়ের প্রেরণাটি তার অমুকুল হবে তা বুদ্ধি আয়ত্ত করতে পারছে না। তাই দেশহিতৈষণার নিঃস্বার্থতা তোমাকে পেয়ে বসেছিল, তুমি তারই মধ্যে পড়েছিলে ঝাপিয়ে । বাইরের বাধা ও বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে’ তোমার বুদ্ধি হয়েছে বিভ্রান্ত, সে আর সে পথে চলতে সাহস করছে ন। তাই তুমি হয়ে পড়েছ সঙ্কুচিত। কোন পথে যাবে তার ঠিকানা নেই কিন্তু ভিতরে রয়েছে ছোটবার তাগিদ ।” সুজাতা আবার জিজ্ঞাসা করলে—“যারা বিভ্রান্ত হয় তারা কি সকলে এই রকমভাবে হয় ?”