পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'రిప్షి ది অধ্যাপক অনুভব করে যেন সেই ক্ষতের মধ্যে একটা প্রোথিত শঙ্কু নিরন্তর আলোড়িত হয়ে তার জীবনকে করে তুলেছে আর্ত্তিময় । অনেকে হয় ত বলবেন যে এটা একটা যৌন আবেগের তাড়ন, কিন্তু এ কথা নিশ্চয় করে বলা কঠিন । এটা যৌবনের তাড়না, জীবনের আবেগের তাড়না, জীবনপ্রবাহের প্রাচুর্য্যের বেদন । জীবনপ্রবাহ যখন স্বচ্ছল হয়ে ওঠে, ৰান ডেকে ওঠে যখন জীবনে, সে বান থাকতে চায় না বদ্ধ হয়ে নৈষ্কর্ম্ম্যের নিষ্ফলতার মধ্যে। একটা 'কচি বঁাশ যখন অস্কুরাবস্থায় থাকে তখন তার মধ্যে যে জীবনের শক্তি থাকে সে শক্তি সেই বংশপ্ররোহকে উদ্ধ থেকে উদ্ধে প্রেরিত করে । সে তার শিখা লগ্ন করতে চায় আকাশে, তার বিজয়পত্রিকা মেলে’ ধরতে চায় বায়ুমণ্ডলের মধ্যে । সেই বংশাঙ্কুরকে যদি একটা হাড়ি দিয়ে দিতে চাও আটকে, বন্ধ করে দিতে চাও তার উৰ্দ্ধগতি, সে তথাপি চাইবে বাড়তে । কুঁকডে' কুঁকড়ে কুণ্ডলীকৃত হয়ে হাড়ির গহবরকে পূর্ণ করবে এবং সেইখানেই লাঞ্ছিত হবে তার গতির সমস্ত উদ্যম । উন্নত আকাশের সূর্য্যালোককে সে স্পর্শ করতে পারবে না, দৈন্তের জীর্ণতায় তার অবরুদ্ধ জীবন লয় পাবে হাড়ির মধ্যে। সে বংশাস্কুরের যদি চেতনা থাকত তবে সে অনুভব করতে পারত এই একান্ত সঙ্কোচের যাতন। হৃদয়ের ঘূর্ণ থেকে মুক্তিলাভ করে আনন্দের উৎসাহে কর্ম্মস্রোতের মধ্যে গা ঢেলে দিল স্বজাত । তার সঙ্গে কাজ করতে লাগলেন অধ্যাপক ব্যানাঞ্জি । জরা এসে করেছে তখন তার দেহকে আক্রমণ, কাশশীর্ষের ন্যায় ধবল হয়েছে তার কেশ, গ্রস্থি হয়েছে শিথিল, পেশীগুলি হয়ে এসেছে লোল। র্তার ভ্রক্ষেপ নেই দেহের দিকে, দৃষ্টি নেই ব্যক্তিগত শয়নভোজনের ক্লেশের দিকে, দৃষ্টি নেই তার