পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক \రిన్త ) বেশের দিকে । পাগল হয়ে চলেছেন তিনি কাজের দিকে । জ্যোতিষ্মান সেই মুখের দিকে চেয়ে শ্রদ্ধায় ও ভক্তিতে আপ্লুত হ’ত সুজাতার মন, তার নারীহৃদয়ের উৎস থেকে জননীর স্তন্তের ন্যায় ক্ষরিত হতে লাগল স্নেহধারা, অনুরাগধারা এই বৃদ্ধ অধ্যাপকের উপর। সে একদিকে করতে লাগল তার পরীক্ষার কার্য্য, অপরদিকে সে আপনাকে ব্যাপুত করল অধ্যাপক ব্যানাজির সেবায়। ভৃত্য ছিল অনেক, কিন্তু আমাদের দেশের ভূত্যেরা কাজ করবার সময়, প্রায়ই মগজ বস্তুটার ব্যবহার করে না, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও কখন কোনটা প্রয়োজন, কোনটা হ’লে প্রভুর স্থবিধা হবে, কোনটায় অস্থবিধা, এ বিষয়ে তারা কখনও তাদের বুদ্ধিকে চালায় না । এর মধ্যে খুব যারা ভাল হয় তার বড় জোর রুটিনমাফিক কাজ চালিয়ে যেতে পারে ; তাও তার চালায় না যদি না সে সম্বন্ধে তাদের সজাগ কবে দেওয়া হয়। সেই জন্য যারা একান্তভাবে ভূত্যোপজীবী এবং কোন বিষয়ে কি করতে হবে সে বিষয়ে যারা ভৃত্যদের উপদেশ দিতে এবং উপদেশ মত তার কাজ করল কি না তা দেখে নিতে অক্ষম, র্তাদের বেঁচে যাওয়ার একটিমাত্র উপায় হচ্ছে কোন বিষয়ে কিসের অভাব হ’ল সে সম্বন্ধে কিছুমাত্র বোধ না থাকা কিংবা অভাববোধ হ’লেও তা গ্রাহ না করা । সময়ে অসময়ে দু’একটা হুমকি দেওয়াতে মেজাজ খারাপ করা ছাড়া আর কোনও ফল হয় না। গৃহিণীর যখন নেন চাকরের উপর কর্তৃত্ব, তখনও যে সকল সময়ে সুফলই হয় তা বলা যায় না ; কিন্তু তখন যে অসুবিধ ঘটে তার আর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই, তার প্রতিক্রিয়া পুরুষের তরফ থেকে যদি দুর্ভাগ্যক্রমে কিছু ঘটে তবে সে পুরুষের লাঞ্ছনার শেষ থাকে না । গৃহিণীদের সহিত যুদ্ধে নেপোলিয়নের মত বীরেরও জয়লাভ করার আশা নেই।