পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసిఫి অধ্যাপক গৃহিণীরা থাকেন নানা কর্ম্মে ব্যস্ত-গল্পগুজব, প্রসাধন, সস্তানদের মারণ তাড়ন, উপন্যাস-পাঠ ইত্যাদি । তা ছাড়া সংসারের প্রবল দায়িত্বের বোঝা কাধে নিয়ে তারা কি প্রকার বিব্রত হয়ে আছেন এ কথা নানা প্রকারে ধ্বনিত করে’ এবং তার গৌরব উপভোগ করে’ অন্য বিষয়ে ভাববার তাদের বড় সময় থাকে না । কর্তার কি কি আবখ্যক হতে পারে, কি কি বিষয়ে তিনি সুবিধা অসুবিধা অনুভব করেন, কি হ’লে তিনি অপেক্ষাকৃত সুস্থ থাকতে পারেন, এসব বিষয়ে বিবেচনা করে’ ব্যবস্থা করতে হ’লে তাব পক্ষেও প্রয়োজন হয় কল্পনাশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যবহার করা । তাতে লাগে মগজের পরিশ্রম । স্বভাব ও অভ্যাসের গুণে র্তাদের অনেকেই শরীর ও মগজ এ উভয় বস্তুকে ব্যবহার কবতে নারাজ। এই জন্য যদিও ভূত্যের উপর প্রভূত্ব দেখাবার জন্য সময়ে অসময়ে গলগর্জন ও তর্জন উভয় বস্তুবই সদ্ব্যবহার হয়, তথাপি কর্তা বেচারীর তাতে কোনও বিশেষ উপকার হয় বলে’ মনে হয় না । পরস্তু, ভূত্যের তত্ত্বাবধানে থাকলে যদি বা কখনও সুবিধা অসুবিধার কথা জানানো যায়, গৃহিণীর তত্ত্বাবধানে থাকলে সে বিষয়ে একান্ত মৌন হয়ে না থাকলে জীবনযাত্রা হয় দুঃসম্পাস্তেয় । কিন্তু স্বভ্রাতা গৃহিণীও নয়, ভূত্যও নয় ; সে কাজ করছিল অধ্যাপকের প্রতি দরদে ও ভক্তিতে । ভূত্যের হাতে কোন কাজ দিয়ে সে নিশ্চিন্ত থাকতে পারত না । সে নিজের হাতে অধ্যাপকের সমস্ত কাজ না করে’ ছাড়ত না । সুক্ষ্মভাবে পর্য্যালোচনা করত র্তার মনের চরিত্র, কি তার ভাল লাগে, কি ভাল লাগে না ; এবং তার অভাববোধের আগেই তা পূরণ করে তার জীবনে একটা নূতন অভ্যাস ও অধ্যায় আনবার চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগে গেল । এ জন্য অধ্যাপক অনেক সময় তাকে মৃদুভাবে ভৎসনা করতেন, কিন্তু