পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ' రిఫె( না, মিশতে ইচ্ছা হ’লেও মিশতে পারে না ; অথচ অনেক গভীর রাত্রে সে হঠাৎ উঠেছে ঘুম ভেঙ্গে, ভেসে উঠেছে কানাইয়ের মুখ অকারণে, হৃদয় টেনেছে তার দিকে, যেমন চুম্বক টানে লোহাকে । ভালবাসার রহস্য অতি দুজ্ঞে য় । কেন যে কোনও জিনিষ আমাদের ভাল লাগে, তা নির্ণয় করে বলা কঠিন । খাদ্যদ্রব্য সম্বন্ধে রুচির বৈষম্য সুপ্রসিদ্ধ । কোনও কোনও মতের চিকিৎসকেরা মনে করেন যে রুচির বিচিত্রতার দ্বারা মানুষের দৈহিক জীবনের ধাতুগত বিচিত্রতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ সমস্ত চিকিৎসকের রোগনির্ণয় বা ঔষধ নির্ণয়ের জন্য এই রুচিগত বিচিত্রতার পরিচয় নিয়ে থাকেন । খাদ্যাদি সম্বন্ধে রুচিগত বিচিত্রতার কারণ যদি অনুসন্ধান করতে হয় জীবনপ্রবাহেব ধাতুগত প্রকৃতিতে, তা হ’লে বোধ হয় কোনও লোককে কেন আমাদের ভাল লাগে তারও কারণ খুজিতে হয় আমাদের মনের কাঠামোর বিচিত্রতার মধ্যে । কেউ যখন আমাদের কোনও উপকার করে তখন আমরা তাকে ভালবাসি। এ ভালবাসাটা অনেক পরিমাণে নির্ভর করে আমাদের সাধারণ জৈব ধর্ম্মের উপর, জৈব প্রবৃত্তির উপর । আমাদের জৈব প্রবৃত্তি আমাদের সেই দিকেই টেনে নিয়ে যায় যেদিকে আমাদের জীবনের অনুকূলতা ঘটতে পারে । এইজন্য যারা আমাদের উপকার করে তাদের আমরা ভালবাসি এবং তাদের উপকার করা আমাদের একটা সামাজিক কর্ত্তব্য । এই শ্রেণীর ভালবাসার সঙ্গে রয়েছে একটা আদানপ্রদানের ভাব । অনেক সময়ে অনেকে কার জন্যে কতটা ত্যাগ করতে পারে বা কাকে কতটা দিতে পারে তার দ্বারা ভালবাসার পরিমাপ করে থাকেন, আবার যারা কিছু ভাল না করে, কিছু উপকার না করেও আমাদের প্রশংসা করেন তারাও তাদের চাটুবাক্যের দ্বারা আমাদের মন হরণ করে থাকেন ।