পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 а о তাধ্যাপক তাগিদ প্রকাশ পেতে লাগল কানাইয়ের জীবনে, সে হতাশ হয়ে দেখল সে সমস্ত তাগিদের সঙ্গে মঞ্জরীগত তার জীবনের কোনও যোগ নেই । মঞ্জরীর সঙ্গে তার যা ঘটেছে সে একটি ক্ষুদ্র ইতিহাস —সে রয়েছে একটি দ্বীপের মধ্যে নিবদ্ধ হয়ে । সেই ছোট দ্বীপটির মধ্যে গেলে কানাইয়ের হয় ত ছিল বিশ্রাম, ছিল আনন্দ, ছিল একটা তারুণ্যের কল্লোল, কিন্তু তাকে টেনে আনা সম্ভব হত না জীবনের অন্য প্রান্তে । সে ইতিহাস যেন বাধা রয়েছে জীবনেৰ এক ঘাটে, আর এক ঘাটে পাওয়া যাবে না তার দেখ। তাই যখন এল কানাইয়ের জীবনে বন্যা, ভেসে গেল সে সেই স্রোতে, মঞ্জরীর প্রেম রইল এক পাশে পড়ে । সে প্রেম তাকে পারে নি এগিয়ে দিতে, পারল না আটকাতে, তা হয় নি তার ভার, হয় নি তার বাহন । জীবনের এক প্রান্তে কিছু দিনের ছেলেখেলার মত সে রইল হৃদয়ের একটি কোণকে মঞ্জুছায়ায় মন্থণ করে । তাই মঞ্জরী যখন প্রকারান্তরে করলে কানাইকে প্রত্যাখ্যান, তা কঠিন হয়ে বাঞ্জে নি তার হৃদয়ে । যে জীবনে সে ছুটে চলেছিল তার আপন সহজ ও স্বচ্ছন্দ গতিতে, তা আপনিই করেছিল মঞ্জরীকে প্রত্যাখ্যান । মঞ্জরী যেন নিজে তার প্রত্যাখ্যানে নিয়ে এল তারই প্রতিধ্বনি । তার পরে ঢেউয়ের পরে আসতে লাগল ঢেউ, কানাই পড়ল বিচ্ছিন্ন হয়ে । মঞ্জরীর কাছ থেকে সে পায় নি এমন কিছু যা মহা দুদিনেও অক্ষয় স্থধার বাটি ধরবে তার মুখের কাছে । তবু জীবনের যে স্বপ্নকুঞ্জ সে রচনা করেছিল তার স্বপ্নটুকু সে গেল না বিস্তৃত হয়ে, স্নান দীপ শিখার ন্যায় সে জলতে লাগল জীবনের এক কোণে । ঘনিয়েছিল যখন নানা কুঙ্কটিকা, বর্ষণমুখর রাত্রি যখন এনেছিল গর্জনের তাণ্ডব, মধ্যাহ্নের তপ্ত দিবস যখন আকাশকে অন্ধকার করেছিল তার ধূলিপুঞ্জে, তখনও