পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8 o S ক্ষণে ক্ষণে তার মনে পড়ত সেই দীপশিখাটির কথা, তরুণের কল্পকুঞ্জের কথা । আদিকাল থেকে মহাকবিরা যত প্রেমের বন্দনা গান করে এসেছেন, কাব্যকুঞ্জ থেকে নিঃস্থত হয়েছে যত ময়ূরের কেকাধ্বনি, কোকিলের কুহুরব, তারা সেই সুদূরের দ্বীপশিখাটির উপরে বর্ষণ করত তাদের স্বরধারা, থেকে থেকে প্রোজ্জল হয়ে উঠত তার দীপ্তি, মন পূর্ণ হ’ত তার ক্ষণিক উন্মাদনায় । বিধাতা তার ভেল। ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সাগরগামী মহাশ্রোতের মধ্যে । যে ঘাটের দীপে একদিন সম্পন্ন হয়েছিল এই ভেলার বরণ তার কথা স্মরণ করা চলে, কিন্তু সেখানে ফিরে যাওয়া চলে না । ঘাটের মাটির দীপ জলছে তার নিভৃত কোণে, আকাশের নক্ষত্রমাল থেকে বর্ষণ হচ্ছে বিচিত্র আলোকধারা তার উপর । তরঙ্গিত বাতাসের মধ্য দিয়ে কতই না বিচিত্র রূপে সে দেখা দিচ্ছে মনের কাছে, ক্ষণে ক্ষণে টানছে মনের নাড়ীর বন্ধনকে, কিন্তু একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাসে তাকে বিদায় সম্ভাষণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । কিন্তু দুরাশার শেষ নেই। অনেক সময় সে মনে করত, হয় ত সেই পুরাতন দ্বীপটি কোনও না কোনও অলৌকিক উপায়ে, কোনও অনিদিষ্ট দৈবাচরণে অজ্ঞাত পথে ফিরে আসবে তারই বুকের কাছে, ভেলায় আর দীপে হবে ঠেকাঠেকি, দীপটি উঠে বসবে ভেলার উপরে । তারপর সেই দীপটিকে বক্ষে করে’ ভেলার হবে জয়যাত্রা সাগরের দিকে । সাগরের যাত্রী ভেল, দীপের খাতিরে ঘাটে বাধা থাকা তার অসম্ভব । এইখানেই ত আসে জীবনে দৈবের পরিহাস । স্বজাতাকে সে এর পূর্ব্বে দেখেছিল দুইবার। ইতিমধ্যে অধ্যাপকের আশ্রয়ে স্থজাতার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে, কিন্তু সে কখনও এ কথা মনে করতে পারে নি যে তার প্রতি সুজাতার কোনও আকর্ষণ १७