পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8 ශH পেডে আনতে হয় চাপাফুলের মত ; কিন্তু চাপাগাছের তলে দাড়িয়ে চাপার বর্ণলহরীর প্রতি পূজাময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে চাপাফুল ঝরে পড়বে না মাটিতে। কানাইয়ের প্রধান মুস্কিল হ’ল এই যে সে হুয়েও কুড়িয়ে নিতে পারে না, উঠেও পাড়তে পারে না । মঞ্জরী তাকে অসহায় পেয়ে নিজেই নিয়েছিল কুড়িয়ে । কানাই ও স্থজাতার পরস্পর ঘনিষ্ঠ হওয়ার আর একটা বাধা ছিল । কানাই ও মঞ্জরীর ইতিহাস । স্বজাতার দিকে যখন তার মন টানত তখন সে সাহস করে’ উৎসাহের সঙ্গে এগুতে ভয় পেত । সে মনে করত, তার বর্তমান জীবনের গতি সত্ত্বেও মঞ্জরী যদি তাকে দাবী করে’ বসে তা হ’লে সে দাবী সে এড়াবে কি করে’। ভালবাসা যখন আসে ক্ষীণ হয়ে, ছায়ার মত যখন আসে স্নান হয়ে, কর্ত্তব্যবোধের দাবী তখনও থাকে টানা দেওয়া দড়ির মত শক্ত হয়ে । কানাই ছিল সেই প্রকৃতির লোক যে সকল সময়েই জানত কর্ত্তব্যকে সহজ করে। তুলে নিতে । কর্ত্তব্যের সঙ্গে প্রীতির দ্বন্দ্বকে কখনই সে প্রবল হয়ে উঠতে দিত না, এখানে সে রেহাই পেত এই দ্বন্দ্ব থেকে তার স্বাভাবিক কর্ম্মোন্মুখতায় । কর্ত্তব্য চিনে নিতে তার দেরী হ’ত না, আর কর্ত্তব্যের দিকে ঝাপিয়ে পড়তেও তার বিন্দুমাত্র দেরী হ’ত না । কর্ত্তব্য ও প্রীতির দ্বন্দ্ব ততক্ষণই থাকে প্রবল, যতক্ষণ প্রীতির আকর্ষণে কর্ত্তব্যকে আমরা রাথি ঠেলে’ ৷ কিন্তু অনেক মন আছে যাকে টেনে দাবিয়ে রাখা যায় না, সে প্রিং-এর মত ওঠে তড়াক করে’ লাফিয়ে। প্রীতির আকর্ষণ বা বিপদের ভয় যদি কখনও কানাইকে চেপে রাখতে চাইত, সে দ্বিগুণ বেগে লাফিয়ে পড়ত তার কর্তৃব্যের দিকে। উভয়ের দ্বন্দ্ব ঘটতে সে সময়টুকু লাগে, কানাইয়ের মনের ধাতই ছিল এই রকম যে সে সময়টুকু তার কাছে পাওয়া যেত না । তাই