পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক را ه 8 নানা স্থানে। বেশীর ভাগ তার মধ্যে পূর্ববঙ্গে, বিশেষতঃ বাখরগঞ্জ জেলায় । সেখানকার যে সব নায়েবরা আছেন তারা থাজনাপত্র ত কিছু পাঠানই না বরং অনেক জায়গায় বাকী খাজনার দায়ে অনেক বড় বড় জমিদারী শীঘ্রই বোধ হয় নিলাম হয়ে যাবে । গুরুদেব ত নিজে কিছুই দেখেন না আর দেখারও তার বোধ হয় সাধ্য নেই।” কানাই বললে—“হিসেবপত্র ত আমি কিছুই বুঝি না। আমাকে কোথাও কিছু করে আসতে বললে করে আসতে পারি।” মুজাতা বললে—“সমস্ত হিসেবপত্র আমি তৈরী করে রেখেছি। সেগুলো দেখলেই আপনি সব বুঝতে পারবেন। এই দেখুন না।” কানাই কিছুক্ষণ হিসেবপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করে বললে—“দেখুন এ সমস্ত ত কিছুই আমি বুঝতে পারছি না। অঙ্কের figure দেখলেই আমার মাথাটা কেমন গোলমাল হয়ে যায় । সেই জন্যেই ত অতি কষ্টে Physicsএর হাত থেকে B. Scতে রেহাই পেয়ে ঢুকেছি রসায়নে । এখানে নানা রকম রঙচঙে জিনিষ দেখি, জালাই পোড়াই। অঙ্কের হাঙ্গামা অনেক কম ’’ সুজাতা বললে—“তবে কি হবে " কানাই বললে—“ব্যাপারটা কি আমায় সংক্ষেপে বলুন তো ।” স্বজাতা বললে—“ব্যাপারটা এই যে, বাখরগঞ্জের সদর এলাকার মধ্যেই অনেকগুলো বড় বড় মহাল একজন নায়েবের হাতে রয়েছে । সে নায়েব অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ লোক । সে খাজনাপত্র কিছু দেয়নি এবং মহালগুলোরও বাকী খাজনা না দিয়ে নিজের নামে খরিদ করে” নেবে এই বন্দোবস্তে আছে ।” কানাই বললে—“এ ত তা হলে মস্ত মামলা মোকৰ্দমার ব্যাপার। মামলা মোকৰ্দমা ত আমি কিছুই বুঝি না।”