পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉& অধ্যাপক স্বজাতার মুখের দিকে চেয়ে আবার বল্লেন—“এত কষ্ট পরিশ্রমের মধ্যে তোমায় কি আমি পাঠাতে পারি।” সুজাতা বল্লে—“এ ত আমার না করে’ উপায় নেই। আপনার মনে নেই আপনি কি ভাব চাপিয়েছেন আমার উপরে । এখন ਚ তৰু কানাইবাৰু সঙ্গে আছেন । ভবিষ্যতে যখন নানা হাঙ্গামায় পড়ব তখন ত কানাই বাবুকেও সঙ্গে পাব না। কানাই একটু হেসে বল্লে—“কপালের কথা বলা যায় না, হয় ত বা পেতেও পারেন ৷” মুজাতা বল্লে—‘‘বটে !” কানাই বল্লে—“কি করে বলি বলুন ! আপনি যে এত বড় একটা দায়িত্ব ঘাড়ে করবেন তা কি এখানে আসবার আগে জানতেন । মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে তা কি কখনও ঠিক করে বলা যায়। বিশেষতঃ আমাদের মত লক্ষ্মীছাড়াদের কথা ।” সুজাতা অধ্যাপকের দিকে তাকিয়ে বললে—“আমার যত ভয় সে আপনাকে নিয়ে, আমি চার-পাচ দিনের মধ্যেই এসে পড়ব । আপনি শুধু আমি যে রকম বলি সেইভাবে চলবেন । আমাকে কথা না দিলে তো আমি যেতেও সাহস পাই না ।” অধ্যাপক স্বজাতার মাথায় হাত দিয়ে ঈষৎ হাস্তে বললেন— “আচ্ছা তাই হবে ।” পরদিন সুজাতাকে নিয়ে কানাই রওনা দিল বরিশালের দিকে । বৈকালে সন্ধ্যাসন্ধ্যি দুজনে গিয়ে উঠল বরিশাল এক্সপ্রেস ষ্টীমারে খুলনাতে । ফ্লাষ্ট ক্লাসের সামনে বারান্দায় দুখান চেয়ার নিয়ে দুজনে বসে গেল । উদার নদীর বাতাস যেন বুলিয়ে দিলে তার স্নিগ্ধ শীতল হাত এবং জুড়িয়ে দিল তাদের তপ্ত দেহ। "