পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাধ্যাপক 8 ఫి দিনের আলোতে গাছে গাছে ঝোপে ঝোপে যে অন্তরাল থাকে তা চোখে দেখা যায় । তাই প্রত্যেকটি থাকে বিচ্ছিন্ন হয়ে । রাত্রির অন্ধকারে অস্তলীন সমস্ত অন্তরাল নিমগ্ন হয়ে যায় দৃষ্টির অভ্যন্তরে, বস্তুব মধ্যে যে বস্তুর পার্থক্য তা লক্ষ্য করবার কোনও অবসর থাকে না । যে বনস্পতির লাবণ্য দিনের বেলা তার সবুজ চিকণতায় চোখে এনে দেয় প্রসন্নতা, রাত্রিতে গভীর অন্ধকারের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় সেই লাবণ্য । সমস্ত চোখের পটভূমি জুড়ে । প্রকাশ পায় একটা গভীর কালো, যা অন্ধকারের মতই গহন ও দুর্ভেদ্য । ঝণকে ঝণকে জোনাকী পোকার দল সে অন্ধকারের মধ্যে চিক্‌মিক্‌ করে আরও উন্মুক্ত করে দেয় অন্ধকারের গাম্ভীর্য্য । মাঝে মাঝে স্থানে স্থানে সার্চ লাইটের আলো দূর বনানীর উপর পডে’ একট। স্বপ্নময় মায়ালোকের ছবিতে প্রোজ্জল করে তুলছিল তীরের তটগ্রান্ত ; আর তারই সঙ্গে তুলনায় আরও গভীর হয়ে দেখা দিচ্ছিল চারি পাশের অন্ধকারের গাঢ়তা। আমাদের দৃষ্টি যতক্ষণ নানা রূপের মধ্যে করে বিচরণ, চলচ্চিত্রের মতন বিচিত্র ছবি নেচে যায় আমাদের মনের পটভূমির উপর দিয়ে এবং সেই চলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিন্তা আন্দোলিত হয়ে ওঠে । কিন্তু গভীর অন্ধকারের মধ্যে রূপ যখন যায় নিমগ্ন হয়ে, যখন একটি অখণ্ড কালোরূপ মনকে পারে না চালিত করতে তার বিচিত্রতার দ্বারা, তখন মন যায় স্তব্ধ হয়ে। অন্তরের কোন গহবরের মধ্যে মন যেন যায় তলিয়ে, স্তন্ধ ও নিঃসাড় হয়ে আসে চেতন । কোন দৃষ্টিহীন, রূপহীন, দিশহীন, ভাঙ্গন-ঘন অন্ধকারের স্রোতের মধ্য দিয়ে ভেসে চলেছে দুটি যাত্রী । হারিয়ে যেন ফেলেছে তারা মানুষের প্রতি বিশ্বাসের ধ্রুব-নক্ষত্রের দিগম্ভীর্যন্ত্রটিকে । অর্থও অন্ধকারের স্রোতে পৃথিবীর লাবণ্য, পৃথিবীর আকর্ষণ, পৃথিবীর স্নেহ-মমত, আকাঙ্ক্ষা,