পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 88S মঞ্জরীর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়ের পূর্ব থেকেই কানাইয়ের সঙ্গে , তার যোগাযোগ ছিল ? কই, সে কথা ত সে কিছু বলে নি । তবে কি সে গোড়াগুড়ি থেকেই নানা রকম চাতুরী করে এসেছে। এত ভালোবাসা সে যে সুজাতাকে দেখিয়েছে তা কি সবই ছল । আর এত লোক থাকৃতে সুজাতার বিরুদ্ধেই বা সে কেন এমন একটা মিথ্যা অভিযোগ আনবে ! সুজাতা ত কোনও দিন তার কোনও উদ্দেশ্যে বাধা দিতে চেষ্টা করে নি। গ্রেফতার হওয়ার সময় উপস্থিত ছিল মঞ্জরী, কি করুণ সজল, নেত্রে সে বিদায় দিয়েছিল তাকে সেদিন, আবেগে চেপে ধরেছিল তার দুখানি হাত তার হাতের মধ্যে ! এ সমস্তই ছল ? তবে এ সংসারে বিশ্বাসের স্থান কোথায় ? কোনও মানুষের উপরেই ত তাহ’লে বিশ্বাস রাখা যায় না । মানুষের উপরে যদি বিশ্বাস হারাই তবে সংসারে চলক কি করে’ ? কানাই মনে মনে আলোচনা করছিল তার জীবনট। । এই মঞ্জরী তাকে একদিন আকৃষ্ট করেছিল । রূপের মোহে পড়ে সে আপনাকে ধরা দিয়েছিল মঞ্জরীর হাতে। তার কর্ম্মের জীবন যদি তাকে মুক্ত করে’ না দিত, টেনে নিয়ে না আসত প্রশস্ততর গণ্ডীর মধ্যে, তাহ’লে হয় ত সে একটা চাকরীবাকরী জুটিয়ে মঞ্জরীকে নিয়েই চেষ্টা করত মুথের নীড় বধিতে । কি কণ্টকশয্যা হ’ত সেই নীড় ! নারীর মোহ কি ভয়ানক ! বিবাহ করে’ ঘর সংসার করার দিকে, কায়েমী হয়ে একটা স্থিরতা লাভের দিকে তার মন বরাবরই ছিল বিমুখ, যৌবনধর্ম্মে সে আকৃষ্ট হয়েছিল মঞ্জরীর দিকে । কোন ঘূর্ণিতে সে আপনাকে ফেলত হারিয়ে । সে ভাবতে লাগল তার ভবিষ্যৎ জীবনযাত্রার গতির কথা । তার মনে হ’ল সমস্ত পথের দ্বন্দ্ব তার গিয়েছে মিটে, শুধু একটি মাত্র পথ আছে তার কাছে মুক্ত, সেটা শ্বের